‘অন্ধকার থেকে মুক্ত করুক একুশের আলো’ স্লোগানে নড়াইলে এক লাখ মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো নড়াইলবাসী। সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদ, কুশিক্ষাসহ অন্ধকার থেকে মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজন করা হয়।
একুশে উদযাপন পর্ষদের আয়োজনে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সূর্য্য অস্ত যাবার সঙ্গে সঙ্গে সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ সংলগ্ন কুড়িরডোব হাজারো স্বেচ্ছাসেবক প্রদীপ প্রজ্জ্বলন শুরু করেন। একে একে জ্বলে ওঠে লাখো প্রদীপ। অন্ধকারকে ভেদ করে আলোকিত হয়ে ওঠে মাঠজুড়ে। প্রদীপের আলোতে শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বিভিন্ন বর্ণমালা, আল্পনাসহ গ্রাম-বাংলার নানা ঐহিত্যবাহী নকশা ফুটে ওঠে। দৃষ্টি নন্দন এমন দৃশ্য নড়াইলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা হাজার হাজার দর্শক উপভোগ করেন। অনুষ্ঠান চলাকালে ওঠানো হয় ৬৫টি ফানুস। অনুষ্ঠান চলাকালে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন ও কবিতা আবৃত্তি করা হয়।
একুশ উদ্যাপন পর্ষদ-২০১৬ আয়োজিত প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠানে নড়াইল জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, উদ্যাপন পর্ষদের আহবায়ক প্রফেসর মুন্সী হাফিজুর রহমান, নাট্য ব্যক্তিত্ব ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলন কমিটির সদস্য সচিব কচি খন্দকার, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, দিলারা বেগম, মিনতি রানী বোস, রওশনআরা কবির লিলি, আসলাম খান বুলুসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
ভাষা শহীদদের স্মরণে নড়াইলে ব্যতিক্রমী এ আয়োজনের শুরু হয় ১৯৯ সালে নড়াইলের সুলতান মঞ্চ চত্বরে । প্রথম বছর মাত্র ৭০০ মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে এ আয়োজনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর আর থেমে থাকেনি। একুশ এলে এভাবেই স্মরণ করা হয় ভাষা শহীদদের। এখন বেড়েছে এর পরিধি।
নড়াইল পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশের সর্ববৃহৎ এ আয়োজনকে ঘিরে ব্যপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। র্যাবসহ পুলিশের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হলো ২১ উদযাপনের আয়োজন।
Next Post