চতুর্থ দফা উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল হাইজ্যাক করার সরকারী ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডা: শফিকুর রহমান আজ ২১ মার্চ নি¤েœাক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“৪র্থ দফা উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল হাইজ্যাক করার ব্যাপক ষড়যন্ত্র করছে সরকার। ইতোমধ্যেই সরকারী দলের সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভোটারদের উপর হামলা শুরু করেছে। তারা ভোটারদের উপর হামলা, হুমকী, কেন্দ্র দখল করে সিলমারা ও প্রয়োজনে খুন করারও ঘোষাণা দিয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া, যশোর সদর ও ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও এবং কক্সবাজারের কুতুবদিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলায় সরকারী দলের সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনী প্রশাসনের সহযোগিতায় সন্ত্রাসী তান্ডব সৃষ্টি করেছে।
আওয়ামী সন্ত্রাসীরা কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া উপজেলায় জামায়াত প্রার্থীর গণসংযোগকালে প্রার্থীর সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা ভোট ডাকাতির প্রকাশ্য ঘোষণা দেয়।
চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ভোটারদের গণহারে গ্রেফতার করছে। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ভোটারদের হুমকী এমনকি লাশ ফেলে দেয়ারও ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনী আচরণ বিধির অব্যাহত লংঘন, প্রার্থীদের উপর হামলা, কেন্দ্র দখলের প্রকাশ্য ঘোষণা সত্বেও নির্বাচন কমিশনের নীরব ভূমিকায় দেশবাসীর কাছে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে যে, দেশে আদৌ কোন নির্বাচন কমিশন আছে কিনা?
আমরা বার বার সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সন্ত্রাস বন্ধ ও নির্বাচনী আচরণ বিধি লংঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার প্রমাণ রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে সরকারী দলের সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য দলীয় প্রতিষ্ঠানের মত ভূমিকা পালন করছে।
আমরা আবারো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের নৈরাজ্য বন্ধ, প্রশাসনের হয়রাণী ও গণগ্রেফতার বন্ধ করে আটক নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি প্রদান এবং কেন্দ্র দখল করার প্রকাশ্য ঘোষণাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
Prev Post
Next Post