জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর বিরদ্ধে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় সঠিকভাবে হয়নি বলে মন্তব্য করেছে তার পরিবার। একই সঙ্গে রায়ের সময় ও তারিখ নিয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হওয়ায় রায় নিয়ে তারা প্রশ্নও তুলেছেন।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১ টার দিকে শীর্ষ নিউজকে দেয়া রায় পরবর্তী এক প্রতিক্রিয়ায় মীর কাসেম আলীর স্ত্রী খন্দকার আয়েশা এসব কথা বলেন।
খন্দকার আয়েশা বলেন, এ রায় আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এ রায় সঠিকভাবে দেওয়া হয়নি। মীর কাসেম আলীর কোনো দোষ তারা প্রমাণ করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় মীর কাসেম আলী কোনো অপরাধ করেনি। তিনি ইসলামী আন্দোলন করেন এটাই তার আসল অপরাধ। কাসেম আলী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি নিজেই যেখানে মামলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেখানে আপিলের রায়ে মৃত্যুদ- বহাল থাকার কথা নয়। আর সরকারের একজন মন্ত্রীও সেদিন বলেছেন মীর কাসেম আলীর ফাঁসি বহাল রাখার আর কোনো সুযোগ নেই। হয়তো খালাস দিতে হবে নয়তো সাজা কমাতে হবে। এরপর আবার রায় নিয়ে বার বার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হল কেন? আসলে আদালত স্বাধীনভাবে রায় দিতে পারছে কিনা এ নিয়ে এখন মানুষের মধ্যে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন,আপিল বিভাগের ৫ সদস্যের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়েছে। আজ হঠাৎ করেই এ রায়ের জন্য ৯ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করা হলো কেন?
মীর কাসেমের স্ত্রী আরও বলেন, লবিস্ট নিয়োগের যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে সেটা একটা চরম মিথ্যাচার। লবিস্টের বিষয়টি দুদকেও দেয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা তা প্রমাণ করতে পারেনি।
তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল সর্বোচ্চ আদালতে আমরা ন্যায়বিচার পাবো। কিন্তু, আমরা ন্যায়বিচার পায়নি। এ রায় আমরা মানি না।