বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি রফিক আজাদ আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
অজস্র কালজয়ী কবিতার স্রষ্টা রফিক আজাদ আজ শনিবার দুপুর শোয়া দুইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মারা যান। কবির মৃত্যুর বিষয়টির নিশ্চিত করেছেন তার ভাতিজি নীরু শামসুন্নাহার।
৭৫ বছর বয়সী এই কবি মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। বেশ কিছুদিন চিকিৎসার পর ১৩ ফেব্রুয়ারি কবির অবস্থার আরো অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কবি রফিক আজাদ ১৯৪১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ার সময়ই ১৯৫২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বাবা-মার কঠিন শাসন উপেক্ষা করে ভাষা শহীদদের স্মরণে খালি পায়ে মিছিল করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় রণাঙ্গনের সৈনিক হিসেবে পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নেন তিনি। কর্মজীবনে রফিক আজাদ বাংলা একাডেমির মাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘উত্তরাধিকার’র সম্পাদক ছিলেন। ‘রোববার’ পত্রিকাতেও রফিক আজাদ নিজের নাম উহ্য রেখে সম্পাদনার কাজ করেছেন। এছাড়া টাঙ্গাইলের মওলানা মুহম্মদ আলী কলেজের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনাও করেন তিনি।
রফিক আজাদের প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে, ‘অসম্ভবের পায়ে’, ‘সীমাবদ্ধ জলে সীমিত সবুজে’, ‘চুনিয়া আমার আর্কেডিয়া’, ‘পাগলা গারদ থেকে প্রেমিকার চিঠি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
কাব্য-সাহিত্যে অবদানের জন্য ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ও ২০১৩ সালে একুশে পদক পান তিনি।
Next Post