সারা ভারতে যখন ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও” স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে, ঠিক তখনই ফের এক কন্যা নির্যাতনের ঘটনা সামনে এলো। বাবা মা চেয়েছিলেন, পুত্রসন্তান। কিন্তু, তাঁদের সেই আশা পূরণ হয়নি। অভিযোগ, সেই রাগে মাত্র চার বছরের ছোট্ট কন্যাকে হাত পা বেঁধে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চড়া রোদের মধ্যে ফেলে রাখলেন বাবা-মা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের আলিগড়ের এক প্রত্যন্ত গ্রামে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ”জন্ম থেকেই শিশুকন্যাটির ওপর তার বাবা মা নির্যাতন চালান। কারণ তাঁরা পুত্রসন্তান চেয়েছিলেন। তা না হওয়ায় দিন হোক বা রাত, সব সমই তাঁরা শিশুটিকে মারধর করতেন।” জানা গেছে, সম্প্রতি এই নৃশংস ঘটনার ভিডিও তার এক প্রতিবেশী লুকিয়ে তুলেছিলেন। তিনিই সেই ভিডিওটি রহিশ আহমেদ খান নামে এক সমাজসেবীর হাতে তুলে দেন। ভিডিওটি হাতে পাওয়া মাত্রই রহিশ ওই পরিবারের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এমনকী, ওই শিশুর ঠাকুমাও জানিয়েছেন যে তাঁর নাতনির সঙ্গে পশুর মতো ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, পুলিশও এই ঘটনায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি বলে অভিযোগ। উলটো সংবাদমাধ্যমের হাতে ক্লিপিংসটি তুলে দেওয়ার জন্য রহিশের ওপরই অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছে। রহিশের অভিযোগ, “পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত করার বদলে আমাকেই হুমকি দিচ্ছে। কারণ আমি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের হাতে এই ভিডিওটি তুলে দিয়েছি।” এই নিয়ে এসএসপি অনসুল গুপ্তা জানান, তিনি ওই শিশুকন্যার মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। শিশুটির মায়ের বক্তব্য, যখন গোটা ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছিল তখন তিনি বাথরুমে ছিলেন। তবে ভিডিওটি কিন্তু একেবারেই অন্য কথা বলছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, শিশুটি যখন কাঁদছিল, তখন ওই নারী বাসন মাজছিলেন।