ঢাকা: বাছাই পর্বে টানা তিন জয়। তবে সুপার টেন পর্বে টানা চার হারে টি২০ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশ। তবে এমন ব্যর্থতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পারফরম্যান্সও ছিল, যা সবাইকে চমকে দিয়েছে। আইসিসি যেমন তালিকা করেছে বিশ্বকাপের সেরা দশ পারফরম্যান্সের। সেখানে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের হার্ড হিটার ওপেনার তামিম ইকবাল ও পেস বিস্ময় মুস্তাফিজুর রহমান।
বৃষ্টি বিঘ্নিত বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে ওমানের বিরদ্ধে তামিম করেছিলেন ৬৩ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস। যা ছিল বাংলাদেশের টি২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম সেঞ্চুরি। এই ইনিংসে তামিম হাঁকিয়েছিলেন ১০টি চার ও পাঁচটি ছক্কা। দলও জিতেছিল হেসে খেলে। এই ইনিংসের কারণেই সেরা দশে জায়গা পেয়েছেন তামিম ইকবাল।
অন্যদিকে মুস্তাফিজ জায়গা পেয়েছেন শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বোলিং করে। যে ম্যাচে মাত্র ২২ রানে নিয়েছিলেন ৫টি উইকেট। যা চলতি বিশ্বকাপে সেরা বোলিং ফিগার। যদিও ঐ ম্যাচে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল মাত্র ৭০ রানে। তবে মুস্তাফিজের কীর্তি কিছুটা উজ্জ্বল করেছিল টাইগারদের মুখ।
সেরা ১০ পারফরম্যান্সের তালিকায় দাপট সাত ব্যাটসম্যানের। বাকি তিনজন বোলার। তামিম ছাড়াও ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আছেন ইংল্যান্ডের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিরাট কোহলির অপরাজিত ৮২ রান, যার বদৌলতে ভারত পৌছে যায় সেমিতে। এছাড়া আছে দ. আফ্রিকার সঙ্গে ইংলিশ ব্যাটসম্যান জো রুটের ৮৩, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদের ৪৪, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লঙ্কান অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের লড়াকু ৭৩, বাংলাদেশের সঙ্গে শহীদ আফ্রিদির করা ৪৯ রান।
মুস্তাফিজ ছাড়া এই তালিকায় আছে মাত্র দুজন বোলার। তারা হলেন হল্যান্ডের পেসার পল ফন মিকেরেন ও নিউজিল্যান্ডের সান্টনার। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফন মিকেরেন নিয়েছিলেন ১১ রানে ৪ উইকেট, ভারতের বিপক্ষে ১১ রানে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন স্যান্টনার।