অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলে এমন অভিযোগ তুলে আজ শুক্রবার রাঙামাটি শহরের রিজার্ভবাজারের অন্তত চারটি হোটেলে ভাঙচুর চালিয়েছে মুসল্লিরা। এ সময় ছয়জন নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আজ জুমার নামাজ শেষে রিজার্ভবাজার জামে মসজিদ থেকে কয়েকশ মুসল্লি মসজিদের সামনের হোটেল আল হেলালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় হোটেলটি থেকে অন্তত চারজন নারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ভয়ে হোটেল মালিক, ব্যবস্থাপক ও কর্মচারীরা পালিয়ে যান।
একই সময় পাশের হোটেল প্রবাসী, হোটেল স্টার ও হোটেল হিলসিটিতেও হামলা চালানো হয়। এই হোটেলগুলো থেকে আরো দুই নারীকে আটক করা হয়। এ সময় উত্তেজিত মুসল্লিদের হামলায় দুই নারী আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্থানীয় এলাকাবাসী কামরুল, শাহীন ও মনির অভিযোগ করেছেন, রিজার্ভবাজারের কয়েকটি হোটেলে দিনের পর দিন অসামাজিক কার্যকলাপ চললেও এই বিষয়ে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছিল না। এমনকি একাধিক হোটেলে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। মসজিদের সামনের হোটেলেও একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। তাই জনগণ ক্ষুব্ধ হয়ে এই হামলা চালিয়েছে।
রিজার্ভবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও হোটেল হিলসিটির মালিক আনোয়ার মিয়া ভানু বলেন, ‘এইভাবে হামলার কোনো মানে নেই। কোনো অভিযোগ থাকলে তারা আমাদের বলতে পারত, পুলিশকেও জানাতে পারত। কিন্তু তা না করে এই হামলার কারণে ব্যবসায়িকভাবে রিজার্ভবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং পর্যটকরা এখানে আসবেন না।’
রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে স্থানীয় লোকজন কয়েকটি হোটেলে হামলা চালিয়েছে জেনে আমরা এসেছি এবং কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।’
কোনো অবস্থাতেই আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মো. শহীদুল্লাহ বলেন, কোনো হোটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশকে জানানো উচিত।