ঢাকা: মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’র মাধ্যমে রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক বিশেষ বর্ধিত সভায় মায়া এসব কথা বলেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়ার মাধ্যমে আমরা তিনটি জিনিস প্রমাণ করব। এক রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ গড়ব, দুই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেকোনো আন্দোলন-সংগ্রামে প্রস্তুত।”
তিনি বলেন, “আর তিন নম্বর হলো বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মাঝে মধ্যে হুঙ্কার দেয় উপজেলা নির্বাচনের পর আন্দোলন কইরা আমগো না কী বঙ্গপোসাগরে ফালাইয়া দেব। কিন্তু সেদিন জাতীয় সংগীতের অনুষ্ঠানে শপথ নিয়ে আমরা তাকে জানিয়ে দিতে চাই, ২০১৯ সালের আগে দেশের কোনো নির্বাচন হবে না।”
নেতাকর্মীদের প্রতি দিক-নির্দেশনা দিয়ে নগর আওয়ামী লীগের নেতা বলেন, “কথা তিনটা, সময়মত যাওয়া, সুন্দর কাপড়-চোপড় পড়ে যাওয়া ও হুড়াহুড়ি- না করা এবং মহিলাদের প্রতি অনুরোধ কোনো প্রকার ব্যাগ নিতে পারবেন না। তবে মোবাইল নিতে পারবেন তাও একটি।”
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, “২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্ম জানিয়ে দেবে তারা তাদেরকে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত।”
কামরুল ইসলাম বলেন, “আপনারা যারা একাত্তর দেখেন নাই। বাংলাদেশের অভ্যুদয় দেখেন নাই। তাদের জন্য এই জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুষ্ঠান এক বিশেষ সুযোগ। কারণ সেদিন জাতীয় সংগীত গেয়ে আমরা শপথ নেব রাজাকারের বিরুদ্ধে, যারা দেশটাকে নিয়ে বিষেদাগার করছে, যারা দেশটাকে ধ্বংস করতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।”
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি মুকুল চৌধুরী, ফয়েজউদ্দিন মিয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. সেলিম, আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল হক সবুজ প্রমুখ।