কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাইশা তান্যুশকা ইমু (২০) নামের এক তরুণী মহান আল্লাহকে নিয়ে আপত্তিকর লিখা ও পবিত্র কোরআন শরীফে পা রেখে তার নিজ ফেসবুকে পেজে ছবি পোষ্ট করায় সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।
জানা যায়, কুমারখালী পৌর শহরের ৩ নং ওয়ার্ডের এলঙ্গী পাড়া (তমিজ মোড়) এলাকার আব্দুর রশিদের মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা মাইশা তান্যুশকা ইমু (২০) তার ফেসবুক পেজে মঙ্গলবার বিকেলে মহান আল্লাহকে নিয়ে আপত্তিকর লেখা ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল কোরআনের উপর ২টি পা রাখা ছবি পোষ্ট করে। ঐ ছবিতে একজন পুরুষ ও একজন মেয়ের পা পরিলক্ষিত হয়।
বিষয়টি দ্রূত ফেসবুকে শেয়ারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় উঠতে শুরু করে। সন্ধ্যায় হাজার হাজার প্রতিবাদকারী তমিজ মোড়ে ইমুর পিতার বাড়ির সামনে প্রতিবাদ জানাতে থাকে। কুমারখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ইমুকে আটক করে এবং তার মা-বাবাসহ থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ আরো জানায়, ইমুর ফেসবুক আইডি তার বন্ধু তামিম অথবা অন্য কেউ হ্যাক করে এই ছবি ও আপত্তিকর বক্তব্য পোষ্ট করে থাকতে পারে। তবে বিষয়টি প্রমাণের জন্য ইমুর মোবাইল সেট ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিশের ছেলে তামিম পলাতক রয়েছে। পুলিশ জানায়, তামিমকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে বুধবার বিকেলে শহরের বিভিন্ন মোড়ে সর্বস্তরের জনতা ইমু ও তামিমের কঠোর শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। তবে এ সময় পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান অরুন এবং পৌর জামায়াতের আমির ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফজাল হোসেনের নেতৃত্বে প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিলটি উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়।
পূর্ব থেকেই উপজেলা পরিষদে উপস্থিত থাকা কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন ও পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিম প্রতিবাদকারী জনতার সাথে দুই দফা খোলামেলা কথা বলেন।
তিনি প্রতিবাদকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই জঘন্য ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার অপরাধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি সকলকে শান্ত থাকার আহবান জানান। এ সময় পুলিশ সুপার পুলিশ সদস্য তোফাজ্জেল হোসেনকে ছেলের অপরাধের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের আশ্বাসে প্রতিবাদকারী হাজার হাজার বিক্ষোভকারী চলে যান।
সুত্রঃ RTNN