চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার পূর্ব কালাদী গ্রামে মা, ভাই আর সন্তানকে বেঁধে রেখে এক গৃহবধূকে (২২) ধর্ষণ মামলায় স্থানীয় এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মতলব পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব চলিয়েছে।
সোমবার রাতে সংঘটিত ধর্ষণের ঘটনায় গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মো. কচিকে (৩০) গ্রেপ্তার করা হয়। তবে পলাতক রয়েছে তার চার সহযোগী।
আটক কচি মতলব দক্ষিণ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। পলাতক চার জন হলেন- পট্টি বাবু, লাল শরিফ, তৌসিক ও জামাল প্রধানিয়া।
গতকাল মঙ্গলবার ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে এ পাঁচ জনকে আসামি করে মতলব দক্ষিণ থানা একটি ধর্ষণের মামলা করেন।
মামলার বরাত দিয়ে মতলব দক্ষিণ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার জামিনের খরচের জন্য রানা নামে তাদের এক আত্মীয় ৩৭ হাজার টাকা নিয়ে তাদের কলাদী গ্রামের বাড়িতে যান। এটি জানতে পেরে সোমবার রাত ৯টায় ছাত্রলীগের ওই পাঁচ নেতাকর্মী জোরপূর্বক ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে। ঘরে ঢুকে তারা ওই নারীর সাড়ে ৪ বছরের ছেলে, শাশুড়ি ও ছোটভাইকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে ফেলে। তারা রানার কাছ থেকে ৩৭ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং রানার সঙ্গে ওই নারীর নগ্ন ছবি তোলে ও মারধর করে। পরে তাদের মধ্যে তিনজন ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এবং অপর দুজন তাদের সহায়তা করে।
ভোরে ধর্ষণকারীরা রানার কাছে আরো টাকা দাবি করলে তিনি টাকা আনার কথা বলে বের হয়ে বিষয়টি মতলব থানা পুলিশকে জানান। দুপুরে ধর্ষিতা গৃহবধূ থানায় মামলা দায়ের করলে বিকেলে কচিকে আটক করে পুলিশ। এরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মতলব পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব শুরু করে। তারা মতলব অটোরিকশা স্ট্যান্ড এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালায়, কয়েকটি রিকশা ভাঙচুর ও দোকানপাটে হামলার চেষ্টা চালায়। তাণ্ডব চলাকালে পুলিশকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।
পুলিশ জানায়, পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Prev Post