কক্সবাজার : মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকতে নানা আয়োজন করা হয়েছে ‘সাত বীরশ্রেষ্ঠের বালি ভাষ্কর্য।’ সকালে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের ও ভাষ্কার্য প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছে বিপুল সংখ্যক পর্যটকও। সব পর্যটকই স্মরণ করেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধের এসব বীর সেনানীকে।
একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে এই সাত বীরশ্রেষ্ঠ যথাক্রমে সিপাহী মোস্তফা কামাল, ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, আর্টিলারি অফিসার মো. রুহুল আমিন, সিপাহী হামিদুর রহমান, ল্যান্স নায়েক নুর মোহাম্মদ, ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান ও ল্যান্স নায়েক মুন্সী আবদুর রউফের বীরত্বগাঁথা কীর্তি স্মরণের জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
ফ্রিল্যান্সার শিল্পী শহিদুল আলম পারভেজ এবং সহকারী শিল্পী সৈয়দ মামুনুর রশীদ জানান, দুই দিন ধরে একটানা সৈকতের বালিয়াড়িতে কাজ করেই এই ভাস্কর্যের তৈরি করা হয়। শিল্পী পারভেজ বলেন-‘৪৩ বছর আগে এসব বীরশ্রেষ্ঠরা স্বাধীনতার জন্য যে ত্যাগ করে গেছেন সেই ত্যাগকে এই প্রজন্মের নিকট তুলে ধরার উদ্দেশ্যই হচ্ছে এই বালি ভাস্কর্য।’
দুপুরে কক্সবাজারের এই সাত বীরশ্রেষ্ঠর বালি ভাষ্কর্যর উদ্ভোধন করেন সাতজন মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ ও নুরুল হক বীরপ্রতীক বলেন, ‘স্বাধীনতার এমন দিবসটিতে বীরশ্রেষ্ঠদের সৈকতের বালিয়াড়িতে যেন আমরা জীবন্তই দেখতে পেলাম।’