নারায়ণগঞ্জে এক স্কুল শিক্ষককে ক্ষমতাসীন এমপি কর্তৃক ‘জনতার রোষের’ ধুয়া তুলে কান ধরে উঠ-বস করানোর ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে যেন সুনামি ঝড় বইছে।
শাহবাগী এবং আওয়ামী বুদ্ধিজীবি, ব্লগার ও সেলিব্রিটিরা শিক্ষক শ্যামল কান্তির অপমানে ‘নিজেরা অমানিত’ বোধ করছেন এবং নিজেদের কান ধরা ছবি ফেসবুকে আপলোড দিচ্ছেন। স্ট্যাটাসের পর স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের মর্মাহত ভাব ফুটিয়ে তুলছেন!
অবশ্য শিক্ষকের এমন অপমানে সাধারণ মানুষও প্রতিবাদ করছেন, যদিও তাদের প্রতিবাদ পরিমিত। বাংলাদেশে বর্তমানে যে ধরনের জংলি শাসন চলছে তাতে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে। শ্যামল কান্তির ঘটনা বিশেষ কিছু নয়।
কিন্তু যেসব আওয়ামী দালাল বুদ্ধিজীবি বা মিডিয়া এটা নিয়ে মাত্রাতিরিক্ত সরব, তারা ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্তরে পুলিশ-বিজিবির গুলির মুখে শত শত আলেমকে সারবিদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে কান ধনে উঠ-বস করানোর ছবি নিয়ে হাসাহাসি করেছিল। তখন শাহবাগি ব্লগার ও মিডিয়া এগুলোকে ‘অপমানের’ দৃষ্টিতে না দেখে তাদের বিজয় হিসেবে তুলে ধরেছিল।
একই রকম ঘটনা আরো আছে। বুয়েটের জনৈক অধ্যাপককে ফেসবুকে সরকারের সমালোচনা করে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে একই বছর জুতাপেটা করেছিল ছাত্রলীগ নেতারা। তখন ওই শিক্ষকের পক্ষে মিডিয়া কান্নার রোল তুলেনি! কোনো বুদ্ধিজীবী নিজের গলায় জুতা ঝুলিয়ে ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার দেননি!