পতন ঘনিয়ে আসায় আওয়ামী লীগ দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। দলের নেতারা বলেন, ‘সম্মিলিত মটরচালক সমাজ’-এর ব্যানারে আওয়ামী ক্যাডার বাহিনী গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসভবন ঘেরাও নাটকের মাধ্যমে তাকে হয়রানি করতে চায়। আওয়ামী লীগের ইসলামবিনাশী অপতৎপরতা, দুঃশাসন, নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে শহর-নগর-বন্দর ও তৃণমূলের সর্বস্তরের জনতা ফুঁসে উঠেছে। রক্তপিপাসু পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও দলীয় ক্যাডার বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে গণমানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন দমন করা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা এবং আওয়ামী লীগের পতন সুনিশ্চিত না করে তারা ঘরে ফিরে যাবে না। খুন-গুম, নির্যাতন ও অপপ্রচার চালিয়ে আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না। দেশবাসী তাদের মিথ্যাচার বুঝে ফেলেছে। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন কেন্দ্রীয় জমিয়তের সভাপতি শায়েখ আবদুল মোমিন, নির্বাহী সভাপতি মোস্তফা আজাদ, সিনিয়র সহসভাপতি নূর হোসাইন কাসেমী, সহসভাপতি মাওলানা জহিরুল হক ভুঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এডভোকেট শাহীনূর পাশা চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ কারী আবদুল খালিক আসআদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান প্রমুখ। জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বাস-গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে নিরীহ পথচারীদের প্রাণনাশ এবং জানমালের ক্ষতিসাধনের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, বিরোধী দলে থাকাকালীন আওয়ামী লীগ শেরাটনের সামনে বাসে আগুন দিয়ে ১১ যাত্রীকে পুড়িয়ে মেরেছিল। এখন ১৮ দলের ন্যায্য আন্দোলন থেকে দেশবাসীর দৃষ্টি ভিন্ন দিকে নেয়ার জন্য মানুষের জীবন নিয়ে এমন ঘৃণ্য ও নৃশংস খেলায় মেতে উঠেছে। জমিয়ত নেতৃবৃন্দ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৮ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের এবং রাতের আঁধারে বিএনপি কার্যালয় ভেঙে রিজভী আহমেদকে গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দলীয় স্বার্থে ব্যবহার আওয়ামী লীগের জন্য বুমেরাং হবে। কারণ ক্ষমতা কারও জন্যই চিরস্থায়ী নয়।