[ads1]বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে চাননি, মুক্তিযুদ্ধ চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।
গুলশানে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে শনিবার (২১ মে) রাতে এক শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ওই সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান নাকি রাজাকার। স্বাধীনতার ঘোষণা জিয়াউর রহমানের কন্ঠে সবাই শুনল। এটা রাজকাররা কী দেয়? কিন্তু যার দেওয়ার কথা ছিল, তিনি তো বেশ পাইপটাইপ নিয়ে চলে গেলেন পাকিস্তানে। ওখানে তো বেশ আরামেই কাটালেন। তিনি তো স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। তার দলের নেতা তো বারবার বলেছিল একটু রেকর্ড করে দেন। এই রেকর্ডটা আপনার নামে বাজালে মানুষ উদ্বুদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধে নেমে পড়বে। তিনি সব সময় চেয়েছিলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধ চাননি।[ads1]
বিএনপি প্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছে। জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেছেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘দেশটা আওয়ামী লীগের পৈতৃক সম্পত্তি হয়ে গেছে অথচ মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে তারা সাহস পায়নি। আওয়ামী লীগ সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে আর স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করেছেন জিয়াউর রহমান। কিন্তু যুদ্ধ না করে তারা এখন মুক্তিযোদ্ধা।’
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মুখে ধর্ম নিরপক্ষেতার কথা বললেও বাস্তব চিত্রটা ভিন্ন। তারা ধর্মনিরপেক্ষতা বিশ্বাস করে না। তাই যদি হতো তাহলে সকল ধর্মের মানুষকে হত্যা করতো না। তাদের মনে যে কি আছে তা জানা কঠিন।[ads1]
বিএনপি সকল ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা চাই শান্তি, ঐক্য ও প্রতিবেশির সঙ্গে সুসম্পর্ক। কারণ সমস্যার সমাধান মারামারিতে নয়, সমাধান করতে হয় আলাপ-আলোচনায়।’
‘আওয়ামী লীগ দেশটাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়ে প্রয়োজনে নিরাপত্তার খাতিরে দেশ ছেড়ে চলে যাবে। তাই সময় এসেছে সকলকে এক হওয়ার। দখল ও হত্যা আওয়ামী শাসকদলের জন্য নতুন কিছু নয়। স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকেও তারা দখল, হত্যা ও নির্যাতন চালিয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির প্রধান বলেন, ‘বর্তমানে দেশে কোনো ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা নেই। এখন পর্যন্ত যত লোক হত্যা হয়েছে তার হত্যাকারীদের কেউ কি গ্রেফতার হয়েছে? গ্রেফতার করা হয়নি কারণ এই সকল অপরাধীরা তাদেরই দলীয় লোক। এদের ধরেনি, হয়তো এরা বাংলাদেশেও নেই।’[ads1]
নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এরা অপদার্থ। বোবা ও কালা। সম্প্রতি বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ট্যাঙ্ক লাগে। তাই বলছি উনাকে ট্যাংকের ওপর বসিয়ে দেন।’
‘জাতীয় নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করতে হবে। তখন সেনাবাহিনীও মোতায়েন লাগবে। কারণ সেনাবাহিনীর কাছেই তো ট্যাঙ্ক থাকে। তারাই তো এটা চালাতে পারে,’ বলেন তিনি।
দেশে এখন গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, কথা বলার স্বাধীনতা নেই উল্লেখ কলে খালেদা জিয়া বলেন, ‘ভিন্ন মত প্রকাশ করলেই মামলা, জেলে নিয়ে নির্যাতন শুরু হয়ে যায়। ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে তারা একলা থাকবে, কোনো দল থাকবে না। দেশটা ধ্বংস করে দিয়ে যাবে আর আমরা শুধু চেয়ে থাকবো আকাশের দিকে তা হতে পারে না।’
এসময় ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে নিহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, তাদের সাহায্য প্রয়োজন হবে। সেটাও আমরা দেখবো।
বিএনপির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ানের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া।[ads1]
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রুহুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা খন্দকার গোলাম আকবর, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সুমঙ্গল ভিক্ষু, সাচিং ভ্র জেরী, দয়ানন্দ ভিক্ষু, শান্তিরক্ষিত থের, সুশীল বড়ুয়া, চন্দ্রগুপ্ত বড়ুয়া, প্রবীণচন্দ্র চাকমা, সনত তালুকদার প্রমুখ।