প্রতিনিয়ত বাড়ছে গরম এবং বাড়ছে জ্যামজট। এর মাঝে ভারী কাপড় চোপড় পরে থাকা কষ্টের ব্যাপার। গ্রীষ্মকালীন পোশাক পরেও গরম যখন সহ্য হচ্ছে না তখন গায়ের জামাটাই যদি এমন হয় যা দিতে পারে এসি অর্থাৎ এয়ারকন্ডিশনের ঠান্ডা প্রশান্তি, তাহলে? তাহলে কেমন হতো- সেটি বোঝার জন্য এখন কল্পনা শুরু করতে হবে না, অপেক্ষা করেও বসে থাকতে হবে না।[ads1]
জাপানের বিজ্ঞানীরা এমন এক জামা তৈরি করেছেন, যা এসির মতো-টতো নয়, একেবারে এসির প্রশান্তি দিতে সক্ষম। কেননা জামাটির মধ্যেই রয়েছে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এসি ব্যবস্থা। জাপানের কুশুফুকু প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এই এসি জ্যাকেট বানিয়েছে।
জাপানের কুশুফুকু কোম্পানি লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট হিরোশি ইচিগায়া জানিয়েছেন, তারা সম্প্রতি একটি এয়ারকন্ডিশন জ্যাকেট উদ্ভাবন করেছেন। জ্যাকেটটি ঘরে বা অফিস-আদালতে ব্যবহৃত এসির তুলনায় অনেক বেশি সাশ্রয়ী ও কার্যকর। এটির মধ্যে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি দিয়ে চালিত দুটি বৈদ্যুতিক পাখা রয়েছে। প্রতি সেকেন্ডে জ্যাকেটটি ২০ লিটার পর্যন্ত বাতাস ভেতরে টেনে নিতে পারে। ওই বাতাস জ্যাকেটটির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ঘাড়ের কলার ও হাতের আস্তিন দিয়ে বেরিয়ে যাবে। এ প্রক্রিয়াতে জ্যাকেট পরিধানকারী ব্যক্তির গোটা শরীরে বয়ে যাবে প্রশান্তির বাতাস।[ads2]
জ্যাকেটটির ওজন ১ কেজিরও কম। একটি এয়ারকন্ডিশন চালাতে যে পরিমাণ শক্তির প্রয়োজন হয় তার ৫০ ভাগের এক ভাগ খরচ হবে এই এসি জ্যাকেটের আরাম নিতে। ১০টি ভিন্ন ধরনের এই জ্যাকেটটি পাওয়া যায়। এই জ্যাকেট দিয়ে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে নামিয়ে আনা সম্ভব।
প্রতিষ্ঠানটি এ ধরনের জ্যাকেট উদ্ভাবনের নেপথ্যে কারণ হিসেবে জানিয়েছে, ঘরে সাধারণ যেসব এসি ব্যবহার করা হয়, সেগুলোতে প্রচুর বিদ্যুৎ খরচ হয়। তা ছাড়া পুরো একটি ঘর ঠান্ডা করার চেয়ে ব্যক্তির শরীর ঠান্ডা করাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে এই প্রতিষ্ঠান এ ধরনের বাতাসপ্রবাহী ম্যাট্রেস, কুশনসহ আরো কয়েকটি শীতলীকরণ পণ্য উদ্ভাবন ও বাজারজাত করেছে। ভারতেও পাওয়া যাচ্ছে এই জ্যাকেট। জ্যাকেটটির মূল্য ১২০ ডলার। ভ্যাট ও ট্যাক্স ছাড়া বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯ হাজার ৬০০ টাকা।[ads1]
[ads1]