[ads2]সৌদি আরবের বেশ জনপ্রিয় খাবারের দোকান আল বাইক। এখানে মেলে মূলত মজাদার মুরগি ভাজা। এই মুরগি ভাজা খেতে আল বাইকের দোকানে দেখা যায় বেশ ভিড়। সারিতে দাঁড়িয়ে কিনতে হয় খাবারটি। তবে সময় নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। সারি যতই দীর্ঘ হোক, কয়েক মিনিটের মধ্যে খাবার পেয়ে যাবেন। দামও বেশ কম। চার টুকরো মুরগি ভাজা, বন, গার্লিক সস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই মাত্র ১২ সৌদি রিয়াল।
আল বাইক মূলত মুরগি ভাজার দোকান। মুরগি ছাড়াও সিফুড, আইসক্রিম, কোমল পানীয়ও পাওয়া যায়। তাদের মূল আকর্ষণ হলো স্পাই সি চিকেন। স্পাই সি চিকেনের যেকোনো ধরনের আইটেমের মাংসের একেবারে ভেতরে স্তরে স্তরে মসলার আস্তর থাকে। জানি না, প্রতিটি পিসের ভেতরে ইনজেকশন দিয়ে আলাদা করে মসলা ঢোকানো হয় কি না। ১৯৭৪ সালে জেদ্দায় শাকুর আবু গাজলাহ দোকানটি শুরু করেন।[ads1]
আল বাইকে আস্ত একটি মুরগি ভেজে চার টুকরো করে পরিবেশন করা হয়। এর সঙ্গে থাকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, দুটি বন রুটি ও রসুনের সুস্বাদু সস। এই সস এখানে তুম নামে পরিচিত। আল বাইকের মুরগি আসে বাইরে থেকে। উপকরণ মালিক নিজে বানিয়ে প্রতিটি শাখায় পৌঁছে দেন। কেউ জানেও না কী উপকরণ দিয়ে কীভাবে তৈরি হয় এই মজাদার খাবার। আল বাইকের অনেক প্রতিযোগী এসেছিল সৌদি আরবে, কিন্তু কেউ সুবিধা করতে পারেনি।
বাংলাদেশের হাজিরা আল বাইকে গেলে একটু বেশি সুবিধা পান। কারণ, সেখানকার অধিকাংশ কর্মী বাংলাদেশি। দেশের কেউ গেলে পান বাড়তি খাতির। আর এলাকার লোক হলে তো কথাই নেই। সারিতে দাঁড়িয়ে খাবার সংগ্রহ বা টেবিলে নিয়ে খাওয়া—সবকিছুই বাংলাদেশি কর্মীরা দেখভাল করেন।[ads1]
Prev Post
Next Post