[ads1]বাউফলের সন্তান, বরিশাল পলিটেকনিক এর সাবেক সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত), বরিশাল মহানগরীর ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম রেজার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বিকেলে ভরিপাশার নিজ বাড়িতে তাকে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল বরিশালে পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় রেজা নিহত হয় । এছাড়াও আহত হয়েছে আরো ৬ জন। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের সম্মুখে এঘটনা ঘটে। সশস্ত্র হামলায় নিহত ছাত্রলীগ নেতার নাম রেজাউল করিম রেজা। সে মহানগর ছাত্রলীগ কেন্দ্রীক রাজনীতি করত। এছাড়াও নিহত ছাত্রলীগ নেতা রেজা বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের অনুসারী। ছাত্রলীগ নেতা রেজা ২০০৬ সালের ব্যাচের ছাত্র ছিল। পাশ করে বের হয়ে যাওয়ার পর সে পলিটেকনিকের একাংশ ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রন করত। এ ঘটনায় গুরুত্বর আহতরা হলেন বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ইলেক্ট্রোমেডিকেল বিভাগের ৭ম পর্বের ছাত্র ফাহিম, মেকানিক্যাল বিভাগের ৭ম পর্বের ছাত্র মেহেদী, পূন্য, সোহাগ, রহিম ও কাওছার। এরা সবাই কলেজ ছাত্রলীগ নেতা।এছাড়াও এরা নিহত মহানগর ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল করিম রেজার অনুসারী।[ads2]
প্রত্যক্ষদর্শী ও ইন্সটিটিউট সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহ খানেক আগে ইন্সটিটিউট ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমের এক অনুসারীকে তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে হুমকি দেয় ইন্সটিটিউট সংলগ্ন আমির কুটির এলাকার বাসিন্দা জাহিদ। এর জের ধরে ছাত্রলীগের ফাহিম ও তার অনুসারীরা জাহিদকে বেধড়ক মারধর করে। এরপরপরই জাহিদ তার অনুসারীদের নিয়ে ইন্সটিটিউটের প্রধান ছাত্রবাসে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফাহিম ও তার সহযোগীদের উপর হামলা করার চেষ্টা করলে আবরো ধৃত হয় জাহিদ ও তার সহযোগীরা এবং তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। সর্বশেষ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮ টায় রেজাউল করিম রেজা তার অনুসারী ফাহিমসহ অন্যান্যদের নিয়ে বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে প্রবেশ কালে ইন্সটিটিউটের সামনেই ওৎ পেতে থাকা পূর্ব শত্রুতার জের এবং আধিপত্য বিস্তার সূত্র করে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আমির কুটির এলাকার ক্ষুদে সন্ত্রাসী জাহিদ, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের ছাত্র মেহেদী, স্থানীয় বখাটে রাকিব, সাইফুল সহ প্রায় ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এসময় রেজাউল করিম রেজাকে এলাপাথারী কুপিয়ে আহত করা
এছাড়াও ফাহিমের রগ কর্তনসহ তার সহচরীদের কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসী দল। পরে রেজাউল করিমের অন্য অনুসারীরা বিষয়টি টের পেলে ঘটনাস্থলে আসলে সটকে পরে সন্ত্রাসী দল। রেজার অনুসারীরা তাৎক্ষনিক রেজাসহ অন্যান্যদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় আহত ছাত্রলীগ নেতা রেজার। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেবাচিম হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক।[ads1]