বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, “বর্তমান সরকারকে হটাতে গণঅভ্যুত্থানের কোনো বিকল্প নেই। কারণ বর্তমান স্বৈরাচার সরকারের অধীনে দেশের জনগণ ও গণতন্ত্র নিরাপদ নয়।”
শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকাস্থ কুমিল্লা দাউদকান্দি জাতীয়তাবাদী ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, “এখনও সময় আছে গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মসূচি গ্রহণ করুন। অন্যথায় এর ফল আপনাদেরকে বহন করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৬ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসী সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত জিয়াউর রহমানই এদেশের রাষ্ট্রপতির ভূমিকায় অবর্তীণ হয়েছিলেন। সুতরাং এ কথা এখন অস্বীকার করার মতো কিছু নেই। এখনই সময় সত্যকে উদঘাটন করে প্রকৃত সত্যকে বের করা।”
‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা না’ প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সমালোচনা করে রফিকুল ইসলাম বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বীরউত্তম উপাধি দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমানকে। কিন্তু এখনও শেখ হাসিনা বলছেন জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা নয়। একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশের জনগণ এ ধরনের অসত্য বক্তব্য আশা করেন না।”
এ মানববন্ধনের সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী। আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, রফিক শিকদার, সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ড. খন্দকার মোশাররফের ছেলে ড. মারুফ হোসেনসহ দলের নেতা কর্মীরা।