[ads1]সৌদি বাদশাহ খালিদ বিন আব্দুল আজিজ এর সাথে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেখা করতে গিয়েছেন। বাদশাহর সাথে কুশল বিনিময়ের পরপরই জিয়াউর রহমান বললেন,
– তোমার দেশে যা নেই, আমার দেশে তা আছে, আবার আমার দেশে যা নেই, তা তোমার দেশে আছে।
সউদি বাদশাহ থতমত খেলেন। গরীব একটা দেশের এই কালো নাতিদীর্ঘ প্রেসিডেন্ট বলে কি!
জিয়াউর রহমান আবারো বললেন,[ads2]
– আমার দেশে অনেক পরিশ্রমী মানুষ আছে, তারা অনেক কাজ করতে পারে। আর তোমার দেশে যেমন কাজ আছে, তেমনি টাকাও আছে।
একইভাবে আর্জি নিয়ে গেলেন মরুভূমির প্রায় সবগুলো দেশে। বাংলাদেশের মূল্যবান জনশক্তি প্রথমবারের মত রাষ্ট্রীয়ভাবে বিদেশে রপ্তানী শুরু হলো। বিদেশে প্রশিক্ষিত শ্রমিকের বেতন বেশি হওয়ার কারণে তিনি দেশ্যব্যাপী কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে বাংলাদেশের বেকার যুবকদের দ্রুত প্রশিক্ষিত করার ব্যবস্থা করলেন। প্রায় শূন্য থেকে শুরু করে আজ সউদি আরবে তিরিশ লাখ বাংলাদেশী, সংযুক্ত আরব-আমিরাতে এগারো লাখ, কুয়েতে আড়াই লাখ, ওমানে সোয়া দুই লাখ, কাতারে প্রায় পৌনে দুই লাখ আর বাহরাইনে প্রায় এক লাখ মানুষ বাংলাদেশের জন্য মূল্যবান বৈদেশিক মূদ্রা উপার্জন করছেন। আজ সমগ্র বিশ্বে বাংলাদেশের শ্রমিকদের যে শ্রম বাজার তৈরী হয়েছে তার একক কৃতিত্ব শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের।
যারা কখনো হজ্ব বা ওমরাহ করতে সৌদি আরব গিয়েছেন, তারা জানেন আরাফাতের ময়দানে অনেক নীম গাছ আছে। সৌদি নাগরিকরা এই গাছকে বলে, ‘জিয়া ট্রি’। কারন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই গাছগুলো উপহার হিসেবে সেখানে পাঠিয়েছিলেন।[ads1]
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষে সরকারি হিসেবে ছাব্বিশ হাজার এবং বেসরকারি হিসেবে দশ লক্ষ মানুষের জীবনহানী হয়েছিলো যখন দেশের জনসংখ্যা ছিলো মাত্র সাড়ে সাত কোটি। সেই সময় কেউ কি ভেবেছিলেন যে, এই ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের মধ্যেই ষোল কোটি মানুষ খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারবেন? শহীদ জিয়ার সবুজ বিপ্লবের কারণেই আজ বাংলাদেশের মানুষ কোনরূপ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি না হয়ে বেঁচে আছেন।
আজ শহীদ জিয়ার ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। মানুষটা আর দশ বছর বাঁচলে বাংলাদেশ আজ মালয়েশিয়া বা সিংগাপুরের মতই উন্নত একটি দেশ থাকতো।
একেএম ওয়াহিদুজ্জামানের ফেসবুক থেকে[ads2]