ঢাকা: ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট যেন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যু এসে কড়া নাড়ছে কারো না কারো দরজায়।
বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত আগুন ও পেট্রোল বোমায় দগ্ধ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
অবরোধকারীদের ছোঁড়া পেট্রোল বোমায় দগ্ধ আরো এক ব্যক্তি মঙ্গলবার সকালে মারা গেছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম মাওলানা আবদুস সাত্তার (৬৫)।
গত ৩০ নভেম্বর পটুয়াখালীর বদরপুর লেবুখালী দরবার শরিফের সামনে পিটকেটারদের ছোঁড়া পেট্রোল বোমায় দগ্ধ হন আবদুস সাত্তার। তার বাড়ি পটুয়াখালী সদরের জৈনকাঠি।
আবদুস সাত্তারের নাতি জানান, গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বদরপুর লেবুখালীতে শর্ষীনা দরবার শরীফে মাহফিল শেষে অটোরিকশায় বাসায় ফিরছিলেন। লেবুখালী ফেরিঘাটের সামনে আসার পর অবরোধকারীরা পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারলে ৩ জন দগ্ধ হন।
সাত্তারকে প্রথমে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে শাহবাগে বাসে আগুন দেয়া হলে ১৯ জন দগ্ধ হন। পরে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে দুই মামাতো-ফুফাতো ভাই মারা যায়। যারা ওই বার্ন ইউনিটে বেঁচে আছেন তাদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছে হাসপাতালের বাতাস।