দেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র ওয়েবসাইটটি (https://bangladeshnationalistparty-bnp.org/) আপততো বন্ধ রয়েছে। দলটির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানেই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান’ চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার এমন দাবির তীব্র সমালোচনার প্রেক্ষাপটে ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
‘জিয়াই প্রথম রাষ্ট্রপতি’ এ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে ঝড় উঠার একদিন পরই বিএনপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। শুক্রবারও বিএনপির ওয়েবসাইটটি দেখা গেলেও শনিবার থেকে আর সেটা দেখা যাচ্ছে না৷
গত মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রথম দাবি করে বলেন, “তার বাবা জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের “প্রথম রাষ্ট্রপতি”। এর একদিন পর বুধবার খালেদা জিয়া বলেন “তারা যতই বলুক, কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস হচ্ছে, ‘স্বাধীনতার ঘোষক’ ও ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ জিয়াউর রহমান৷”
এ ব্যাপারে বিএনপির অনেক নেতা এই বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেয়ারও চেষ্টা করেন৷ কিন্তু তারা যখন এই দাবি করছেন তখনও বিএনপির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেখা যায় জিয়াউর রহমান সপ্তম রাষ্ট্রপতি।
এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘জিয়া শুধু স্বাধীনতার ঘোষণাই দেননি, তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপতি দাবি করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থনের জন্য সারাবিশ্বের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। পাঁচ মিনিটের জন্য হলেও শহীদ জিয়াই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি।
এর আগে বিএনপির ওয়েবসাইটে বলা হয়, বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল প্রতিষ্ঠিত। এমনকি ওয়েবসাইটটিতে বিএনপিকে বর্তমান জাতীয় সংসদের বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছিল।
এ ব্যাপারে জানতে বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমানকে টেলিফোন করে পাওয়া যায়নি। তাই ধারনা করা হচ্ছে বিতর্ক এড়াতে সাইটটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে৷
এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, “বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যে দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি সে প্রকৃত সত্য উদঘাটনের জন্য এ বিষয়ে গবেষণার প্রয়োজন।”
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময়ে ২৬ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসী সরকার গঠনের আগ পর্যন্ত জিয়াউর রহমান এদেশের রাষ্ট্রপতির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন। এই সত্য অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।”