[ads1]লড়াইটা আরও আগেই বেঁধেছিল। হাসিনার ক্ষমতার রাজনীতির লোভের কারণে লড়াইটার ধামাকে চাপা দেয়া হয়েছিল। ইনু বনাম হানিফের লড়াইটা দমে গেলেও নতুন করে বেঁধেছে ইনু বনাম আশরাফের লড়াই। লড়াইয়ের বিষয় যেটা প্রকাশ্য সেটা একই। তবে অপ্রকাশ্য লড়াইটা এখন নিজেদের অস্তিত্বের সংকট নিয়ে। হাসিনা ও আশরাফের বাবা মুজিব ও সৈয়দ নজরুলদের সময় জাসদের ইনুবাহিনী যেভাবে হত্যার প্লট নির্মাণ করেছিল সেভাবে হাসিনা ও আশরাফের জীবন সঙ্কটাময় বলে মনে করছেন সৈয়দ আশরাফ। সত্তর দশকে যেটা করেছিল বাইরে থেকে সে ক্ষতি এখন করছে ভিতর থেকে।
প্রকাশ্য বিতর্ক হলো-
হানিফের মত আশরাফও প্রমাণ ছুঁড়ে দিয়ে বলছেন, ইনু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্লট নির্মাণ করেছেন। তবে হানিফ অপেক্ষা আশরাফ কিছুটা বেশি শিক্ষিত হওয়ায় তার ছোঁড়া কাঁদাটা একটু বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ইনুর মুখোশ একটু বেশিই উন্মোচিত হয়ে গেছে। তিনি স্বাধীনতাত্তোর সময়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে শেখ মুজিব ও আওয়ামীলীগসহ সারাদেশকে যেভাবে নরকক্ষেত্র বানিয়ে ফেলেছিল জাসদের গণবাহিনী সে বিষয়গুলো চিত্রিত করেছেন। তবে ইনুর দল জাসদ শতধা বিভক্তির পর নতুন করে মাঈনুদ্দিন খান বাদলের সাথে বিভক্তিতে এমনিতেই বিপদের মধ্যে নিপতিত তারমধ্যে আওয়ামীলীগের সেকেন্ড ইন কমাণ্ডের এই বক্তব্যের পর ইনুর অবস্থা এখন শোচনীয়। তিনি এখন ইতিহাস বাদ দিয়ে জঙ্গি দমনের আহবান জানাচ্ছেন। আর সৈয়দ আশরাফ বলছেন, ইনুর জাসদই হলো বাংলাদেশের সবচে বড় জঙ্গি সংগঠন। আর ইনুকে মন্ত্রীসভায় স্থান দেয়ায় তার খেসারত আওয়ামীলীগ সরকারকে দিতে হবে বলেও তিনি ছাত্রলীগের অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন।[ads2]
অপ্রকাশ্য বিতর্ক হলো-
তবে হঠাৎ করেই আশরাফ সাহেব ইনুর বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানালেন কেন?
আওয়ামীলীগের সূত্রগুলো বলছে, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সকল গুপ্তহত্যা ইনুর নেতৃত্বে জাসদের বাহিনীগুলো ঘটাচ্ছে। এসপি বাবুলের স্ত্রী হত্যা, পুরোহিত হত্যা, মোয়াজ্জিন, ব্লগার ও বিদেশি হত্যার নেপথ্যে রয়েছে জাসদের জঙ্গি বাহিনী। এ বিষয়ে অবগত রয়েছেন স্বয়ং হাসিনাও। যে কারণেই তিনি বলেছেন সকল গুপ্তহত্যার খুনীদের তিনি চিনেন। তবে হাসিনাকে ইনু বুঝাচ্ছে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে হলে এসব হত্যাকাণ্ড চালাতে হবে। আর তার দায় দিতে হবে বিএনপি- জামায়াতের উপর। যে কারণে ইনু এখন জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যেও জঙ্গিতত্ত্ব খুঁজে পান। যে কারণে ইনু ইতিহাস বাদ দিয়ে জঙ্গি দমনের আহ্বান জানাচ্ছেন। যদিও বাংলাদেশের সবচে বৃহৎ জঙ্গি সংগঠনতো জাসদ। আর এসব হত্যায় সহযোগিতা করছে ভারতও। বিশেষ করে হিন্দুদের রক্ষার নামে সরাসরি হস্তক্ষেপ করার মওকা জুটছে ভারতের।
শুধু তাই নয়, ৫ জানুয়ারির ভুয়া ইলেকশনও হয় ইনুদের তাড়নায়। ভোট ছাড়া জঙ্গি ধোয়া তুলে ক্ষমতায় থাকার অপচেষ্টা ইনু-হাসিনার। আশরাফ বুঝতে পারছে এগুলো কাউন্টার প্রোডাক্টিভ হচ্ছে। ইনু আওয়ামীলীগের রাজনীতি ধ্বংস করছে। ইনুর বুদ্ধিতে হাসিনা অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করে আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। আর ৭৫ এর মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির পথে আগাচ্ছে। মুজিবের হত্যার পট নির্মাতা ইনু বাহিনী এখন হাসিনার হত্যার পট নির্মাণ করছে। আর এটা হাসিনা ক্ষমতার মোহে না অনুধাবন করলেও সৈয়দ আশরাফ করছেন। আর সে কারণেই ছাত্রলীগকে সাবধান করে দিয়েছেন।[ads2]
৭২-৭৫ এ ইনুরা বাইরে থেকে সর্বনাশ করেছিল।
এবারে করবে ভিতরে থেকে!
হাসিনা ও আশরাফের বাবাদের জীবন অবসান হয়েছে এই ইনুদের জন্যই। আজ হাসিনা ও আশরাফের পালা। অবৈধ ক্ষমতার নেশায় হাসিনা
না বুঝলেও আশরাফ শঙ্কায় পড়ে গেছে। তাই
ছাত্রলীগকে সাথে করে ইনুদের মুখোশ উন্মোচন করার চেষ্টা করছে আশরাফ।
অন্যদিকে আশরাফ মুখ খোলায়
আওয়ামীলীগের বিরাট অংশ উজ্জীবিত হয়ে
উঠেছে। সরকার ও জোট থেকে ইনুর বহিষ্কার
ও জাসদের বিচারের দাবি উঠেছে।
মাইনুদ্দিন খান বাদল স্বীকার
করেই নিয়েছেন যে, “হ্যা, আমরা শেখ মুজিবের
রক্তাক্ত বিরোধিতা করেছিলাম এবং তার পতন
চেয়েছিলাম। আমরা মরেছি এবং মেরেছি!”[ads1]
হাসিনার মন্ত্রী সভায় তার বাবার খুনিরা। হাসিনা সব জেনে শুনে নিজের বাবার খুনিদের সাথে নিয়ে সংসার করছেন। শেখ মজিবকে বঙ্গশত্রু উপাধি দিয়েছিলেন মতিয়া চৌধুরী। তিনি মুজিবের চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলেন। সেই তিনি এখন আওয়ামীলীগ সরকারের কৃষিমন্ত্রী। শেখ মুজিবকে হত্যার পর হাসানুল হক ইনু সেনা ট্যাংকে উঠে অস্ত্র উছিয়ে গুলি ছুড়ে আনন্দ করেন। তিনি এখন সরকারের তথ্যমন্ত্রী। মুজিবের লাশ বঙ্গোপসাগরে ছুঁড়ে ফেলার ঘোষণা দেয়া কর্নেল তাহেরকে আদালতের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক ঘোষণা ও ভাই আনোয়ারকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পর্যন্ত বানানো হয়েছে।
হাসিনা তার অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পিতার খুনীদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছেন। পিতার খুনীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে প্রতিবাদ উঠলেও তিনি খুনীদের বিরুদ্ধে কার্যত কোন পদক্ষেপ না দিয়ে উল্টো নিজ দলের নেতাদের দমিয়ে দিচ্ছেন।[ads2]