বিসিবির বিতর্কিত দ্বি-স্তরবিশিষ্ট দল নির্বাচনপ্রক্রিয়া প্রত্যাখ্যান করেছেন বর্তমান প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। কাল বোর্ড সভায় অনুমোদনের পর এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, এই প্রক্রিয়ায় তাঁর পক্ষে কাজ করা সম্ভব নয়।
নির্বাচক কমিটির ‘প্রচলিত ও প্রমাণিত’ কাঠামো বদলে ফেলার প্রতিবাদেই এই ঘোষনা ফারুক আহমেদের। ব্যক্তিগত সফরে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সাবেক এই অধিনায়ক জানিয়েছেন, দেশে ফিরলেই জমা দেবেন পদত্যাগপত্র।
গত কিছু দিনের তুমুল আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই রোববার বিসিবি সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে দুই স্তরের নির্বাচক কমিটি। নতুন কাঠামো অনুযায়ী ফারুকদের নির্বাচক কমিটির নাম হয়ে যাচ্ছে নির্বাচক প্যানেল। আরেকটি থাকছে নির্বাচক কমিটি, যেটির আহবায়ক ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান। এখানে থাকবেন জাতীয় দলের কোচ ও ম্যানেজার, সঙ্গে নির্বাচক প্যানেলের তিন জন।
ফারুক জানালেন, তার এই পদক্ষেপ শুধু নিজের সম্মানের কারণে নয়, প্রচলিত, প্রমাণিত ও সফল একটি সিস্টেম বদলে ফেলার প্রতিবাদে। বিদেশে যাওয়ার আগেই ঘনিষ্ঠজনদের প্রধান নির্বাচক জানিয়েছিলেন, নতুন কাঠামো চালু হলে থাকবেন না দায়িত্বে।[ads1]
ফারুক বলেছেন, “এই কাঠামোয় আমার পক্ষে কাজ করার সম্ভব হবে না। নির্বাচকদের কাজ হওয়া উচিত স্বাধীন; কিন্তু এখানে সেই স্বাধীনতাই থাকবে না। আমরা দল নির্বাচন করার পর যদি সেটি নিয়ে আরেকটি কমিটির কাছে যেতে হয়, তাহলে আমাদের বিচারের মূল্য থাকে না।”
তিনি আরও বলেন, “সব কিছুর ওপরে দেশের ক্রিকেট। আমরা সবাই কাজ করছি দেশের ক্রিকেটের জন্য। এখন এখানে যদি সফল একটি পদ্ধতির বদলে এমন কোনো পদ্ধতি চালু করা হয় যেটায় ক্রিকেট আরও পিছিয়ে পড়তে পারে, শঙ্কার জায়গা থাকেই।”
ফারুক আহমেদ জানালেন, দেশে ফিরতে পারেন তিনি আগামী মাসে। যদি ফিরতে দেরি হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র থেকেও পাঠিয়ে দিতে পারেন পদত্যাগপত্র।
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এই মেয়াদে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব নিয়েছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক। এর আগে দায়িত্বে ছিলেন ২০০৩ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত। দুই মেয়াদে উপহার দিয়েছেন অনেক তরুণ প্রতিভা। তার মেয়াদে দল পেয়েছে স্মরণীয় অনেক সাফল্য। এ বারের মেয়াদে একটি থিতু দল গড়ে তোলায় বড় অবদান ছিল তার নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির।
গত ডিসেম্বরে চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও বিসিবির অনুরোধে এই কয় মাস কাজ চালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।[ads2]