ঔষধ খাতের নৈরাজ্য রোধে জনগণই ব্যবস্থা নিতে পারবে

0

nasimস্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ঔষধ খাতের নৈরাজ্য-অনিয়ম সম্পর্কে এখন মাঠ পর্যায় থেকে জনগণই সরাসরি সরকারকে জানাতে পারবে। নকল বা কাউন্টারফিট ঔষধ সম্পর্কে নিজেরাই অনলাইনে জানতে পারবে। তিনি বলেন, ঔষধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া, নকল ঔষধ এবং ঔষধের নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূল্যে বিক্রয়ের বিষয়ে অনলাইন ভিত্তিক রিপোটিং-এর জন্য একটি ওয়েব পোর্টাল ও মোবাইল এপ্লিকেশন প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ঔষধ খাতের নৈরাজ্য প্রতিরোধে সরকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মাধ্যমে জনগণ ঔষধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া বিষয়েও রিপোর্ট করতে পারবে, ঔষধের নির্ধারিত মূল্য যাচাই করাও সম্ভব হবে। শীঘ্রই জনগণের ব্যবহারের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সংসদের বাজেট অধিবেশনে মঙ্গলবার হাবিবর রহমানের (বগুড়া-৫) টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম একথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সহায়তার একটি সফটওয়্যার  ডেভেলপিং প্রতিষ্ঠান নতুন এ সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের কাজটি করেছে। যা অচিরেই জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হবে। উক্ত সফটওয়্যারের মাধ্যমে জনগণ ঔষধের বিরুপ প্রতিক্রিয়া বিষয়ে রিপোর্ট করতে পারবে, ঔষধের নির্ধারিত মূল্য যাচাই করা [ads1]

সম্ভব হবে। দেশের যে কোন এলাকায় প্রাপ্ত নকল বা কাউন্টারফিট ঔষধ সম্পর্কে ¯^ল্প সময়ে নিশ্চিত হতে পারবে এবং ঔষধ সংক্রান্ত যে কোন অভিযোগ দ্রুত দাখিল করতে পারবে। ঔষুধ ফার্মেসি হবে দুই ক্যাটাগরিতে অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আর্ন্তজাতিক সংস্থার সহযোগিতায়  ভেজাল, নকল ও মানহীন ঔষধ বিক্রি বন্ধে দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকার মডেল ফার্মেসী স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। লেভেল-১ ও লেভেল-২ ক্যাটাগরীতে এ মডেল ফার্মেসির ভবিভিক্ত হবে। ফার্মেসির আকার, ধরণ ও কার্যক্রমের উপর ভিত্তি করে লেভেল করা হবে। লেবেল-১ ক্যাটাগরির ফার্মেসি পরিচালিত হতে হবে এ-গ্রেড ফার্মাসিস্ট দ্বারা এবং লেবেল-২ পরিচালিত হবে বি এবং সি-গ্রেড ফার্মাসিস্ট দ্বারা। এসব মডেল ফার্মেসী থেকে জনগণ মানসম্মত ঔষধ কেনার পাশাপাশি যেন ঔষধের ব্যবহারবিধি ও গুনাগুণ সম্পর্কেও সঠিক ধারণা পায় সেজন্য কাউন্সিলিংয়ের জন্য পৃথক ব্যবস্থা থাকবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী। এসময় মন্ত্রী সংসদকে আরো জানান, জনস্বাস্থ্যের নিরাপত্তার স্বার্থে দেশে জীবন রক্ষাকারী নকল ঔষধ উৎপাদন ও বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে সরকার কঠোরতা অবলম্বন করছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর গত মে পর্যন্ত সারাদেশে ভেজাল/নকল ঔষধ উৎপাদন ও বিক্রি করার দায়ে ৫৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করেছে এবং  ৬৮টি প্রতিষ্ঠান  সিলগালা করেছে। এছাড়া আনুমানিক ২৭কোটি টাকার ঔষধ জব্দ ও ধ্বংস করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।[ads2]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More