৮০ ভাগ হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে ৭ পদক্ষেপ

0

Heart[ads1]সারা বিশ্বেই মানবমৃত্যুর অন্যতম একটি কারণ হলো হার্ট অ্যাটাক। তবে কিছু বিষয় মেনে চললে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করা সম্ভব।

সুইডেনের ক্যারোলিনসকা ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পাঁচটি জিনিস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এই জিনিসগুলো এড়িয়ে যেতে পারলে ৭৯ শতাংশ হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়।

২০১৪ সালে করা এই গবেষণা প্রকাশিত হয় আমেরিকান কলেজ অব কার্ডিওলজির জার্নালে।

গবেষকদের মতে, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাবে যে বিষয়গুলো, সেগুলো হলো :

১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

২. ধূমপান ত্যাগ করা

৩. শারীরিকভাবে কর্মক্ষম থাকা

৪. পেটের মেদ কম থাকা

৫. মদ্যপান কম করা

এর ১০ বছর আগে, অর্থাৎ ২০০৪ সালে ব্রিটিশ জার্নাল লেনসেটে প্রকাশিত একটি গবেষণায় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে প্রায় একই রকম বিষয়গুলোর কথা বলা হয়।

তবে সেখানে ডায়াবেটিস ও মনোসামাজিক বিষয়গুলো যোগ করা হয়। গবেষণায় বলা হয়, এগুলো কমলে পুরুষের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি শতকরা ৯০ ভাগ কমে এবং নারীর ক্ষেত্রে ঝুঁকি কমে ৯৪ শতাংশ।

তাই এটা আসলে পরিষ্কার যে, জীবনযাপনের ধরন হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে বেশ বড় ভূমিকা রাখে। সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতি মেনে চললে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যাবে ৭৯ থেকে ৯০ শতাংশ।[ads2]

স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি অ্যান্ড ন্যাচারাল ওয়ার্ল্ড অবলম্বনে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত বলা হলো :

১. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে হৃৎপিণ্ডের জন্য যেসব খাদ্য ভালো, সেগুলো খাদ্যতালিকায় রাখা প্রয়োজন। এ জন্য খেতে হবে উচ্চ পরিমাণ আঁশজাতীয় খাবার। চর্বিজাতীয় খাবার খাওয়া কমিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া ভিটামিন ও মিনারেল গ্রহণের পরিমাণের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এগুলো শুধু হার্ট নয়, সারা শরীরকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

সবজি, প্রোটিন (তবে লাল মাংস এড়িয়ে), স্বাস্থ্যকর চর্বি (যেমন : বাদাম, অ্যাভোক্যাডো ইত্যাদি) এগুলো খেতে হবে। এড়াতে হবে প্রক্রিয়াজাত খাবার, এতে হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

২. মদ্যপান এড়ানো

মদ্যপান করা হার্টের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় হার্ট অ্যাটাকের। মদ্যপান উচ্চ রক্তচাপ তৈরি করে এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে মদ্যপান কমিয়ে দেওয়া জরুরি।[ads1]

৩. ধূমপান

ধূমপান করা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। এটি ফুসফুসকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, সিওপিডি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই হার্টকে সুরক্ষিত রাখতে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া জরুরি।

৪. পেটের মেদ

পেটের মেদও কিন্তু হার্ট অ্যাটাক তৈরির জন্য সমান ঝুঁকিপূর্ণ, গবেষণায় এমনটাই বলা হয়। অতিরিক্ত পেটের মেদ হার্টকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। সাধারণত পেটে ৯৫ সেন্টিমিটার মেদ থাকা হলো আদর্শ।

৫. শারীরিক পরিশ্রম

ব্যায়াম করা, শারীরিক পরিশ্রম করা হার্টের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। গবেষণায় বলা হয়, নিয়মিত ব্যায়াম করলে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। এ জন্য প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটা অথবা সাইকেল চালানো যেতে পারে।

৬. মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা

সাময়িক মানসিক চাপ অথবা দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ উভয়ই হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সঙ্গে মানসিক চাপের সম্পর্ক রয়েছে। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার উপায় শেখা উচিত। ধ্যান, যোগব্যায়াম, শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এগুলো মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৭. নিয়ন্ত্রণে রাখুন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ

গবেষণায় বলা হয়, যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে। আপনি যদি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হোন, তাহলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন।

এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, ওজনাধিক্য, শারীরিক পরিশ্রমের অভাব এগুলো হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে এগুলো যেন না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখুন।[ads2]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More