৭৩টি উপজেলার নির্বাচনী ফলাফল…

0

Upazila-Electionসহিংসতা ও কেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান, এজেন্ট বের করে দেয়ার মধ্য দিয়ে চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পঞ্চম ও শেষ ধাপে ৭৩টি উপজেলার সবগুলোর চেয়ারম্যান পদে বেসরকারি ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৫০টিতে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিতরা। এছাড়া বিএনপি ১১টি, জামায়াত ৩টি, অনান্য ৩টি, এবং ৫টিতে আওয়ামী লীগের ও একটিতে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। পঞ্চম পর্বে সোমবার দেশের ৩৫টি জেলার ৭৩টি উপজেলায় সকাল ৮টা থেকে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। দখল, বর্জন, জালিয়াতি, ব্যালট বাক্স ছিনতাই ও সহিংসতার মধ্য দিয়ে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ঢাকা বিভাগ

কিশোরগঞ্জ: অষ্টগ্রাম উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী শহীদুল ইসলাম জেমস চেয়ারম্যান হিসেবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী কাজী মনসুরুল কাদের।

পাকুন্দিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রফিকুল ইসলাম। বিএনপির আখতারুজ্জামান খোকন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিলেন।

জামালপুর: মাদারগঞ্জে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের ওবায়দুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির ফয়জুল ইসলাম।

ময়মনসিংহ: ত্রিশাল উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আলহাজ জয়নাল আবেদীন নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল মতিন সরকার।

নান্দাইল উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবদুল মালেক চৌধুরী। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ফরিদা ইয়াছমিন।

গফরগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. আশরাফ উদ্দিন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি সমর্থিত মো. মুশফিকুর রহমান।

গাজীপুর: কালীগঞ্জ উপজেলায় জয়ী হেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আওয়ামী লীগের মোয়াজ্জেম হোসেন। তার নিকটতম ছিলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ফজলুল হক।

শ্রীপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল জলিল। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আব্দুল মোতালেব।

টাঙ্গাইল: গোপালপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের ইউনুস ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির আব্দুল কাদের।

ঘাটাইলে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নজরুল ইসলাম। তার কাছাকাছি ছিলেন বিএনপি সমর্থিত রেজাউল করিম।

মির্জাপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মীর এনায়েত বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন বিএনপির মৃধা নজরুল ইসলাম।

সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. খোরশেদ আলম। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি সমর্থিত মো. আব্দুল হমিদ মিয়া।

নরসিংদী: মনোহরদী উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান বীরু। নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মোয়াজ্জেম হোসেন।

সদরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মঞ্জুর এলাহী চেয়ারমান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন আওয়ামী লীগের তামান্না নুসরাত।

রায়পুর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মিজানুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির ফজলুর রহমান।

নারায়ণগঞ্জ: আড়াইহাজার উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. শাহাজালাল মিয়া চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির গাজী এমএ মাসুদ মিলন।

সোনারগাঁও উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আজহারুল ইসলাম মান্নান।

রূপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. শাহজাহান মিয়া। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাহাফুজুর রহমান আকন্দ।

মুন্সিগঞ্জ: এ জেলার তিনটি উপজেলাতেই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে টংগীবাড়ী উপজেলার চেয়ারম্যান হয়েছেন কাজী ওয়াহিদ। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির রিপন মল্লিক।

লৌহজং উপজেলায় ওসমান গণি তালুকদার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির শাহজাহান খান। এছাড়া সিরাজদিখানে মহিউদ্দিন আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির আব্দুস সালাম সরকার।

রাজবাড়ী: গোয়ালন্দ উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এবিএম নুরুল ইসলাম। নিকটতম ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মো. নজরুল ইসলাম।

রাজশাহী বিভাগ

পাবনা: বেড়া উপজেলায় আব্দুল কাদের আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন বিএনপি সমর্থিত ফজলুর রহমান ফকির।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মাওলানা মুহাম্মদ ইকবাল হোসাইন।

সিরাজগঞ্জ: শাহাজাদপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রফেসর আজাদ রহমান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইকবাল হোসেন হিরু।

বেলকুচি উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী আকন্দ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াতের মো. রফিকুল্লাহ খন্দকার।

রাজশাহী: পবা উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন জামায়াতের মো. মকবুল হুসাইন। তার নিকটতম ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. মনসুর রহমান।

বগুড়া: সদর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আলী আজগর তালুকদার হেনা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সুলতান মাহমুদ খান রনি।

খুলনা বিভাগ

সাতক্ষীরা: দেবহাটায় চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব আব্দুল গনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জেলা জামায়তের আমীর মাহবুবুল আলম।

সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবু বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত নেতা হাবিবুর রহমান।

তালায় আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে আবারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন ঘোষ সনৎ কুমার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের মাহমুদুল হক।

চুয়াডাঙ্গা: সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আসাদুল হক বিশ্বাস বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত মজিবুল হক মালিক।

আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. হেলাল উদ্দীন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত শহিদুল কাউনাইন টিলু।

চট্টগ্রাম বিভাগ

ফেনী: ছাগলনাইয়া উপজেলায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মেসবাউল হায়দার। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নূর আহমেদ।

নোয়াখালী: সুবর্ণর চরে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম সেলিম। তার কাছাকাছি প্রার্থী ছিলেন বিএনপি সমর্থিত এবিএম জাকারিয়া।

বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাহবুব মোর্শেদ লিটন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ।

লক্ষ্মীপুর: রায়পুর উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মাস্টার আলতাব হোসেন হাওলাদার। নিকটতম ছিলেন জামায়াতের আলহাজ হাবিবুর রহমান মিন্টু।

রামগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আ ক ম রুহুল আমিন নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির মো. আব্দুল রহিম।

সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের একেএম সালাহউদ্দিন টিপু।

রামগতী উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন নিকটতম ছিলেন।

কুমিল্লা: চান্দিনা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী তপন বকসী চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে জয়লাভ করেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত এলডিপির প্রার্থী মো. আবু তাহের।

মুরাদনগরে জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল কাইয়ুম। বিএনপির গোলাম কিবরিয়া সরকার ছিলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: আশুগঞ্জে জয় পেয়েছেন বিএনপির আবু আসিফ আহমেদ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মো. হানিফ মুন্সী।

সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. জাহাঙ্গীর আলম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন বিএনপির হাজী মো. জাহাঙ্গীর।

কসবা উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট আনিছুল হক ভূইয়া নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন বিএনপি সমর্থিত ইকলিল আজম।

চট্টগ্রাম: সন্দ্বীপ উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো, শাহজাহান জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী ছিলেন বিএনপির বেলায়েত হোসেন।

রাঙামাটি: রাজস্থলী উপজেলায় উথিনসিন মারমা আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী পুলুখই মারমা।

লংগদু উপজেলায় জয় পেয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন। বিএনপির বিদ্রোহী ফয়জুল আজিম তার নিকটতম ছিলেন।

বিলাইছড়িতে জয় পেয়েছেন জনসংহতি সমতি (জেএসএস) সমর্থিত প্রার্থী শোভমঙ্গল চাকমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জয়সেন তংচংগ্যা।

রাঙামাটি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন জেএসএস সমর্থিত প্রার্থী অরুন কান্তি চাকমা। তার নিকটত প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মাহবুবুল বাসেত অপু।

কক্সবাজার: টেকনাফে জাফর আহমেদ আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন বিএনপির বিদ্রোহী মো. আব্দুল্লাহ।

উখিয়া উপজেলায় বিএনপির সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপির সরোয়ার জাহান। আওয়ামী লীগের হুমায়ুন কবির ছিলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী।

কক্সবাজার সদরে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী জি এম রহিমুল্লাহ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপির আবদুল মাবুদ।

খাগড়াছড়ি: দীঘিনালা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেট্রিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) সমর্থিত প্রার্থী নবকোমল চাকমা। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মো. কাশেম।

বরিশাল বিভাগ

বরগুনা: পাথরঘাটা উপজেলায় চেয়ারম্যন নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রিপন। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান।

বামনা উপজেলায় নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। বিএনপির বিদ্রোহী মঞ্জুরুল রব ছিলেন তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী।

সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্বাস হোসেন মন্টু মোল্লা বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মো. হালিম।

আমতলীতে আওয়ামী লীগের জিএম দেলওয়ার হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জালাল আহমেদ। এ উপজেলায় ৫৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৫২টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। বাকি ৭টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

পটুয়াখালী: দশমিনা উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. শাখাওয়াত হোসেন সওকত বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি সমর্থিত মো. শাহ আলম সানু।

কলাপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুল মোতালেব তালুকদার। তার নিকটতম ছিলেন বিএনপি সমর্থিত মোস্তাফিজুর রহমান।

রংপুর বিভাগ

লালমনিরহাট: কালীগঞ্জ উপজেলায় জয় পেয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মাহবুবুজ্জামান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির বিদ্রোহী রোকন উদ্দিন।

দিনাজপুর: হাকিমপু উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আকরাম হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হারুন উর রশিদ।

বিরল উপজেলায় বিএনপির সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন বজলুর রশীদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মানবেন্দ্র রায়।

পার্বতীপুরে ১৯ দলীয় জোটের বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যার নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত উপজেলা সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক।

নীলফামারী: ডোমার উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক। জামায়াতের মো. আব্দুর রশিদ ছিলেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী।

গাইবন্ধা: সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী মাজেদুর রহমান জয় পেয়েছেন। নিকটতম ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী গোলাম মোস্তফা আহমেদ।

ফুলছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমনি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জামায়াতের মুহাম্মদ ইউসুফ আলী।

সিলেট বিভাগ

সিলেট: বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা আতাউর রহমান খান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৯ দলীয় জোট সমর্থিত বিএনপির প্রার্থী মো. আবদুল মান্নান।

মৌলভীবাজার: রাজনগর উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. আছকির খান জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম ছিলেন বিএনপির জামি আহমদ।

জুড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এমএ মুমীত আসুক চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী নাছির উদ্দিন আহমেদ।

সুনামগঞ্জ: বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ চেয়ারম্যান হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী দিলীপ কুমার বর্মন।

তাহিরপুর উপজেলায় বিএনপির বিদ্রোহী ও বহিষ্কৃত প্রার্থী কামরুজ্জামান কামরুল বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও বিএনপির প্রার্থী মো. আনিসুল হক।

হবিগঞ্জ: বানিয়াচং উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শেখ বশীর আহমেদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আওয়ামী লীগের মো. আবুল কাশেম চৌধুরী।

এদিকে কেন্দ্র দখল এবং এজেন্টদের মারধর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ১৯ উপজেলায় নির্বাচন বর্জন করেছে ১৯ দল সমর্থিত, বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এগুলো হচ্ছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, জামালপুরের মাদারগঞ্জ, বরগুনার বামনা ও আমতলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, ময়মনসিংহের গফরগাঁও, চুয়াডাঙ্গার সদর ও আলমডাঙ্গা, পাবনার তারাবুনিয়া, মুন্সিগঞ্জের লৌহজং, কুমিল্লার চান্দিনা, সাতক্ষীরার সদর, তালা, ও দেবহাটা, লক্ষ্মীপুর সদর ও রামগঞ্জ এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার।

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More