রাজধানীর রামপুরা থানার পুলিশের কাছ থেকে খোয়া যাওয়া ১৪৯টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে তাদের আটক করা হয়। এদের মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্য এবং অপরজন পুলিশের সোর্স। গ্রেপ্তাররা হলেন- রামপুরা থানার এসআই মঞ্জুরুল আলম, কনস্টেবল ওয়াহিদ ও আকাশ এবং তাদের সোর্স রানা।
মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখার সহকারী কমিশনার আবু ইউসুফ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ব্যাপারে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ রামপুরা ব্যাংক কলোনি বালুর মাঠ এলাকায় গ্রেপ্তার থানার সাব ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল ইসলাম একটি প্রাইভেট কারকে দাঁড় করান। এ সময় গাড়ির চালক গাড়ি দাঁড় করিয়ে ভেতরে থাকা আরও দুই আরোহীকে নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে গাড়িটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। গত ১৬ মার্চ রাতে গাড়িটি ছাড়িয়ে নিতে থানায় আসেন গাড়ির চালক সমির বিশ্বাস ও আরোহী মাহিন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা গাড়িতে সোনার বার থাকার কথা জানান।
এক পর্যায়ে তল্লাশি করে গাড়ি থেকে ৭০ পিস সোনার বার উদ্ধার করা হয়। তখন পুলিশ তাদের দুজনকে আটক করে। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, ওই গাড়িতে ২৩৫ পিস সোনার বার ছিল, যার মধ্যে ৭০ পিস উদ্ধার দেখিয়ে বাকিগুলো পুলিশ কর্মকর্তারা আত্মসাৎ করেছেন।
এ অভিযোগে থানার দুই ওসি কৃপা সিন্ধু বালা ও নাসিম আহমেদ এবং সাব ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুলকে প্রত্যাহার করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত ভার দেয়া হয় মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশে।
ঘটনার তদন্তে বাকি ১৬৫ পিস সোনার বার সাব ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে আত্মসাতের প্রমাণ পায় ডিবি। ডিবি সূত্র জানায়, সোমবার সকালে রামপুরা থানার এসআই মঞ্জুরুল ইসলাম, কনস্টেবল আকাশ চৌধুরী এবং কনস্টেবল ওয়াহিদুল ইসলাম ও পুলিশের সোর্স রনিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তারা স্বীকার করেন গাড়িতে থাকা ১৬৫ পিস সোনার বার তারা নিজেরা আত্মসাত করেছিলেন। সে সোনার বার থেকে ১৪৯ পিস উদ্ধার করা হলো।