ঢাকা: ৫০ দশকের বিখ্যাত জনপ্রিয় গান ‘সুগার টাইম’। এটি প্রথম গেয়েছিলেন মেকগুরি সিস্টার্স ব্যান্ডের তিন শিল্পী। এরপর এর বেশ কিছু নতুন ভার্সন বের হয়েছে যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পপ তারকারা গেয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছে জনি কেশ, বিট্রিশ পপ তারকা আলমা কোগান এবং মার্কিন পপ তারকা লিন্ডা মেক কার্টনে। তবে তারা বেউই ম্যাকগুরি দলের তিন বোনকে ছাড়িয়ে যেতে পারেননি।[ads1]
সম্প্রতি এক অজ্ঞাতনামা বৃদ্ধ সুপগারটাইম গানটি নিজের মত করে গেয়েছেন। যা শোনার পর অনেকেই এটিকে গানটির সেরা ভার্সন বলে রায় দিয়েছেন। যদিও এই গানের সঙ্গে কোনো রকম মিউজিক ব্যবহার করা হয়নি।
বৃদ্ধের খালি গলায় গাওয়া গানটি অনলাইনে পোস্ট করার পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। নামি দামি পপ তারকাদের ভাগ্যে কিন্তু অতটা প্রশংসা জোটেনি। এক ব্যক্তির পা মর্দন করতে করতে গাওয়া চাচার ওই গানটি অনলাইন ইতিহাসে তৈরি করেছে জনপ্রিয়তার নতুন রেকর্ড ।
চাচা (নাম জানা যায়নি) ‘১, ২, ৩…. আল্লাহ আমাকে ক্ষমা কর’ বলে গানটি শুরু করেন। পা ডলতে ডলতে তিনি পুরো গানটি নিজস্ব ভঙ্গিতেই গেয়েছেন। তার কণ্ঠে গানটি শোনার পর মনে হয়, এটিই সুগার টাইমের সেরা সংস্করণ। এর আগে কোনো প্রতিষ্ঠিত গায়কও অতটা ভালো গাইতে পারেননি। তার উপস্থপনা, গায়কি আর আবহ সব মিলিয়ে এটি একটি নতুন মাত্রা পেয়েছে। শুধু কি তাই! গান শেষ করার পর তার অভিব্যক্তিটি ছিল আরও দারুণ। তিনি চোখ মুখ কুচকে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে বিচিত্র ভঙ্গিতে যখন বলেন,‘এনি থিং রং?’, (কারো কোনো সমস্যা?) তখন কিন্তু না হেসে থাকাই যায় না।
শিপলু মিয়ার পোস্ট করা ভিডিওটিতে ইতিমধ্যে প্রায় ১১ হাজার লাইক পড়েছে। এই ভিডিও দেখার পর তাই ফেসবুক ইউজাররা প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছেন চাচামিয়াকে। একজন লিখেছেন,‘এই গানটি মার্কিন জনপ্রিয় গায়ক জনি ক্যাসও গেয়েছিলেন। কিন্তু আমি বাজি রেখে বলতে পারি এই বৃদ্ধ মানুষটি তার চাইতেও ভালো গেয়েছেন। তার গান শুনে আমি অভিভূত।’[ads1]
প্রবীণদের মুখে জনপ্রিয় গান শোনা কোনো নতুন ঘটনা নয়। এ বছরেরই প্রথম দিকে পশ্চিম বাংলার ৭২ বছর বয়সী হর্ষ কুমার দাসগুপ্তা পিংক ফোল্ডের একটি ক্লাসিক গান গেয়ে ইন্টারনেটে বেশ আলোচনায় এসেছিল। পরিষ্কারভাবে বলা যায় প্রবীনদের গাওয়া গান সত্যিই দীর্ঘ এবং সুবিখ্যাত।
এর আগে ২০১৬ সালের আমেরকিান গট টেলেন্ট রিয়েলিটি শোটিতে ড্রইং পুলের বিখ্যাত বডিস গানটি গেয়েছিলেন ৮২ বছর বয়সের জন হেটলিঙ্গার নামে একজন প্রবীন ব্যাক্তি। গানটি গেয়ে তিনি জয়ী হন পরে তা ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়।
তাই বলে যে শুধু পশ্চিমা সঙ্গীতের প্রতিই সবার আকর্ষণ এমনটি ভাবা ঠিক নয়। ভারতীয় সঙ্গীতও কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। গত বছর ভারত ভ্রমণের সময় আমেরিকান গবেষক ক্রিষ্টিন ফেয়ার দিল্লির এক ট্রাক্সিতে ওঠেন। কিন্তু চালক কিছুতেই মিটারে যেতে রাজি নয়। কি আর করা। তাকে খুশি করতে ক্রিষ্টিন তখন বলিউডের ‘দিল’ ছবির জনপ্রিয় ‘মুঝে নিদ নেহি আয়ে’ গানটির কয়েক লাইন গেয়ে শোনান। কিন্তু এতে কোনো কাজ হয় না। তখন ক্রিস্টিনা আনারকলি ছবিতে লতা মুঙ্গেসকারের গাওয়া সেই কালজয়ী গানটি ধরেন। ‘ইয়ে জিন্দেগি উসি কি হ্যায়/ জো কিসিসে হোয়া গায়া’। সেই গান শুনে মুগ্ধ হয়ে যায় অটোচালক এবং তাকে মিটারে করেই গন্তব্যে নিয়ে যেতে রাজি হয়। [ads2]