[ads1]ঢাকা: আসছে ঈদে দেশজুড়ে মুক্তি পাচ্ছে জাজ মাল্টিমিডিয়ার বিগবাজেটের ছবি ‘বাদশা’। ছবিটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন কলকাতার অভিনেতা জিৎ ও বাংলাদেশী অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। ছবিটির প্রচারণায় অংশ নিতে আজই বাংলাদেশে উড়ে এসেছেন জিৎ। বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। এতে ছবিটি নিয়ে নিজের প্রত্যাশা, ফারিয়ার সঙ্গে কেমিস্ট্রি নিয়ে কথা বলেন তিনি। ছবি তুলেছেন শিথিল রহমান।
এবার প্রথম বারের মতো দুই বাংলায় আপনার ছবি মুক্তি পাচ্ছে। কি বলবেন?
খুবই এক্সাইডেট লাগছে যে, বাংলাদেশে আসতে পেরেছি। আমি বলেছিলাম ঈদের সময় চলে আসবো, চলে এসেছি। যখন এসকে মুভিজ আমার কাছে প্রস্তাবটা নিয়ে আসে জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় একটা সিনেমা করবে সেদিন থেকেই আমি এক্সাইটেড ছিলাম। যেকোন নতুন জিনিস যখন জীবনে ঘটে আমি এটা চাইছি না যে কখনো ঘটেনি। আমি আগেও বহু বাংলা সিনেমা করেছি। যেহেতু বাংলাদেশ-ভারত সিনেমাটা নতুন আর ছবিটি রিলিজের কাছাকাছি সময়ে চলে এসেছি সেহেতু এক্সাইটমেন্টটা একটু বেশিই। [ads2]
বাংলাদেশে এসে আপনার কেমন লাগছে?
খুব ভালো লাগছে আসছে এখানে এসে মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন এটা দেখার জন্য অপেক্ষা করছি।
এ দেশের ছবিতে নিয়মিত অভিনয় করবেন কী না?
সব ঠিকঠাক থাকলে আরও কাজ করবো। কাজ করতেই আমরা এসেছি।
বাংলাদেশ-ভারত যৌথ প্রযোজনার সিনেমার ইতিবাচক দিক কী?
আর্টিস্ট, কম্বিনেশন, ইনভেস্টমেন্ট, প্রোডাকশন সবকিছুই হাই বলে আর্টিস্টও দুই বাংলা থেকে আসে। দুই মার্কেটের কথা মাথায় রেখে সিনেমা করা হচ্ছে। সেগুলো সিনেমা ভালোভাবে তৈরী করা হলো। দুই কালচারারটাকে অ্যাড করতে হয়।
ঈদ নিয়ে ‘বাদশা’র গানটি বেশ আলোচিত হয়েছে…
ঈদের গানটা গল্পের মধ্যে আনা হয়েছে। খুব ইনজয় করে শুট করেছিলাম। আশা করি সিনেমায়। এটা ফিল করে করেছি ইদ ইদ আমেজ। কিছু মোমেন্ট দেখে মনেই হয়েছে ঈদ এসে গেছে। [ads1]
ঈদে তো আপনার প্রতিদ্বন্দ্বি শাকিব খান। এটাকে কীভাবে দেখছেন?
শাকিবের কাজ আমারও ভালো লাগে। কাজ যতটুকু দেখেছি সুপার স্টারের মধ্যে যতটুকু কোয়ালিটি থাকা উচিত তার সবটাই আছে ওর মধ্যে। সবার জায়গা থাকে একেকটা। আমি গত চৌদ্দ পনেরটা সিনেমায় কাজ করেছি। প্রায় পঞ্চাশটা সিনেমা করেছি। প্রতিবারই শুনেছি বাংলাদেশে প্রচুর মানুষ আছে যারা আমার কাজকে ভালোবাসে। সেখানে আমার প্রতিযোগিতা কিংবা প্রতিদ্বন্দিতা নিজে নিজের জায়গা।
বাংলাদেশের শুটিংয়ে অভিজ্ঞতা কেমন?
সৌভাগ্যবশত ছবিটির প্রথম লটের শুটিং করেছিলাম বাংলাদেশে। শুটিং করে একটা অদ্ভুত ভালোলাগা নিয়ে কলকাতায় ফিরে গিয়েছিলাম। হসপিটালিটি, খাওয়া দাওয়া বাকি অ্যারেঞ্জমেন্ট সবকিছু অসাধারণ ছিলো।
নিজের ক্যারিয়ার গোল কী?
আমি সবসময় স্ট্রাগল করতে চেষ্টা করেছি অ্যাচিভ করার জন্য। এখনো পারিনি। আমি দোয়া করবো কখনো যেন অ্যাচিভ করতে না পারি। সবসময় বেটার কী করা যায় সেই চেষ্টা করবো।[ads2]
[ads1]