ঝিনাইদহ: সদর উপজেলার পোড়হাটি ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি কবরস্থান এলাকায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইবনুল ইসলাম পারভেজ (২৯) নামে এক শিবির নেতা নিহত হয়েছেন। [ads1]
শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত পারভেজ ঝিনাইদহ শহর শিবিরের সাবেক সভাপতি এবং বনানীপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, শুক্রবার রাতে ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কে পুলিশের একটি টহল গাড়ি টহল দিচ্ছিল। রাত আড়াইটার দিকে গাড়িটি ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কে আড়ুয়াকান্দি কবর স্থান এলাকায় পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা গাড়িটিকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২০ মিনিট বন্দুকযুদ্ধ হয়।
এক পর্যায়ে অপর দিক থেকে কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ঘটনাস্থল থেকে পারভেজের লাশ উদ্ধার করে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ১টি দেশীয় তৈরি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ৫টি বোমা, ২টি ছোরা, ১টি চাপাতি ও ২টি হাসুয়া।[ads2]
এ বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের দুই কনস্টেবল আরিফ ও সামান্ত কুমার আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।
নিহত পারভেজের বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করেন, গত ১৬ জুন রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ৯ নাম্বার রোডের ১১ নাম্বার বাসার ৬ তলা থেকে সাদা পোশাকের লোকজন তুলে নিয়ে যায় পারভেজকে। এ সময় পারভেজের সাথে থাকা আরো তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয়। এর মধ্যে শিবির নেতা শহীদ আল মাহমুদ ও আনিচুর রহমান শুক্রবার ভোরে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের মাঠে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।
এদিকে বুধবার (২৯ জুন) শিবিরের কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে ইবনুল ইসলাম পারভেজ, শহীদ আল মাহমুদ ও আনিচুর রহমান তাদের কর্মী দাবি করে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠায়।[ads1]