ঢাকা : সুনসান গুলশান। হঠাৎই উত্তাল হয়ে ওঠে হিংস্রতায়। আর এ হিংস্রতায় প্রাণ গেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম।[ads1]
শুক্রবার (১ জুলাই) রাত পৌনে ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানের আর্টিসান রেস্তোরাঁয় গোলাগুলিতে আহত পুলিশের এই কর্মকর্তা দেখে যেতে পারলেন না তার অনাগত শিশুকেও।
রাতে ইউনাইটেড হাসপাতালে রবিউলের মামা গণমাধ্যমকে জানান, রবিউলের সাত বছরের একটি ছেলে আছে। রবিউলের স্ত্রী সন্তান সম্ভবা। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের কাটিবাড়ি। হাসপাতালে মামার সঙ্গে রবিউলের স্ত্রী, সন্তান ও অন্যান্য সদস্যরাও এসেছেন।
রবিউল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর-মাদক টিমে কর্মরত ছিলেন। রবিউল বিসিএস পুলিশের ৩০তম ব্যাচের সদস্য। এদিকে এ ঘটনায় দুর্বৃত্তদের গুলি ও বোমায় বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিনও নিহত হয়েছেন।[ads2]
এদিকে সেনাবাহিনী আসার কিছুক্ষণ পরই অর্থাৎ সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে মূল অভিযান শুরু করা হয়। সেনা সদস্যদের সঙ্গে অভিযানে অংশ নেয় নৌবাহিনীর কমান্ডো, বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের বিশেষ বাহিনী। শুক্রবার রাতে অস্ত্রধারীদের আক্রমণের প্রায় ১০ ঘণ্টা পর অভিযানটি শুরু হয়।
অভিযান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকে অস্ত্রধারীরা গুলি ছুড়ে। এসময় পাল্টা গুলি চালায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। তবে জিম্মিদের জীবিত উদ্ধারে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে তারা। অন্যদিকে আকাশেও হেলিকপ্টর দিয়ে টহল দেয়া হচ্ছে।
অস্ত্রধারীরা যাতে রেস্টুরেন্টের পাশে থাকা লেক দিয়ে পালিয়ে যেতে না পারে, সে জন্য নৌ বাহিনীর একটি কমান্ডো টিম মোতায়েন করা হয়েছে। সাথে রয়েছে ফায়ার সার্ভিসের টিমও। রাতে তাদের স্পট লাইট বসানো হয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।[ads1]