[ads1]কূটনৈতিক জোন হিসেবে সুপরিচিত রাজধানীর গুলশান। এ কারণে এই এলাকার নিরাপত্তা সব সময় বেশি থাকে।
কিন্তু এ নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সন্ত্রাসীরা কীভাবে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করল, সে প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে।
হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার সুমন বলেন, ‘রাত আনুমানিক পৌনে ৯ টার দিকে ২৫-৩০ বছর বয়সী ৮ থেকে ১০ জন যুবক রিভালবার, ধারাল অস্ত্র ও বোমা নিয়ে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে। তারা ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিয়ে ভেতরে ঢুকে ফাঁকা গুলি করে। এরপরই তারা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়। অথচ এ এলাকা কূটনৈতিক জোন হওয়ায় পুলিশের বাড়তি নজরদারি থাকে।’
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সালমান বলেন, ‘ভদ্রলোকের বেশে আট থেকে নয়জন একসঙ্গে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে। তাদের দেখে সন্দেহ করার উপায় ছিল না যে, তারা সন্ত্রাসী হামলা চালাতে এসেছে। কেননা, তারা প্যান্ট-শার্ট পরিহিত।'[ads2]
গুলশান থানা পুলিশের এক সদস্য বলেন, ‘এই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন জায়গায় চেকপোস্ট, পুলিশের টহল দল সার্বক্ষণিক থাকে। প্রতিটি রাস্তার নিরাপত্তা দেখভাল করতে লাগানো আছে ক্লোস সার্কিট ক্যামেরা। এত কিছুর পরও সন্ত্রাসীরা কীভাবে এই জোনে প্রবেশ করল, তাই এখন তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।’
শুক্রবারের হামলায় বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ ও গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার রবিউল ইসলাম নিহত এবং প্রায় ৩০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন।[ads2]