ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটের বাথরুম থেকে সখিনা (৩৫) নামে এক রোগীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি হাসপাতালের ৪২০ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচ নম্বর বিছানার রোগী ছিলেন।
বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মোজাম্মেল হোসেন জানান, ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ৪র্থ তলার বাথরুমে সখিনার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় ওই ইউনিটের রোগীর স্বজনরা।
এ ব্যাপারে বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, “সাধারণত প্রতিটি ওয়ার্ডে দুই/তিনটি টয়লেট থাকে। পাশে গোসলখানা ও ড্রেসিং করানোর জায়গায় থাকে। সেখানেই জানালার গ্রিলের সঙ্গে ওড়ানা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এ রোগী।”
নিহত সখিনার মা নুর জাহান জানান, সখিনার নাভিতে ঘা ছিল। এ চিকিৎসার জন্য ১০ মার্চ ঢাকা মেডিকেলে তাকে ভর্তি করা হয়। বুধবার তার অপারেশনের করানোর কথা ছিল।
তিনি আরো বলেন, “সখিনা অপারেশনকে ভয় পেতো। এ কারণে সখিনা আত্মহত্যা করেছে কিনা তা বলতে পারছি না।”
এদিকে প্রায় এক বছর ধরে মহাখালীর ক্যান্সার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন সখিনা। ২০ দিন আগে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
সখিনার ভগ্নিপতি শাহজাহান বলেন, “সখিনার তলপেটে টিউমার ছিল। তা থেকে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে সারা দেহে। দীর্ঘ সময় ধরে তিনি হাসপাতালে ছিলেন। আর কৃষক স্বামী ওয়াহীদ মিয়াকে নিয়েও নানা ধরনের চিন্তা করতেন। এসব নিয়ে চিন্তায় হয়তো তিনি আত্মহত্যা করেছেন।”
সখিনা হবিগঞ্জের বাহুবলের আশাতলায় বাস করতেন।