সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করে কাউকে হত্যার নাম জিহাদ নয়: আহমদ শফী

0

Ahmed Shafi[ads1]চট্টগ্রাম: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ইসলামের নাম ব্যবহার করে গুলশান, শোলাকিয়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সন্ত্রাসী হামলা জাতির জন্য অশনি সংকেত। এসব সন্ত্রাসী হামলা কখনো জিহাদ হতে পারে না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আল্লামা শফীর পক্ষে তার প্রেস সচিব মাওলানা মুনির আহমদ সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে আল্লামা শফী বলেন, ‘কোনো মদ পানকারী আল্লাহু আকবার বলে মদ পান করলে যেমন কেউ সেটাকে ইসলামি মদ বলবে না, তেমনি কোনো সন্ত্রাসীর আল্লাহু আকবার বা ইসলামের নামে মানুষ হত্যাকে জিহাদ বলবে না।’

আল্লামা শফী আরো বলেন, ‘ইসলামকে উচ্ছেদ করে আধিপত্য ও শোষণের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতেই এসব হামলার ঘটনা ঘটছে। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করে কাউকে বিনা কারণে হত্যা ও সমাজে ভীতি তৈরির নাম কখনোই জিহাদ নয় বরং ইসলামের জিহাদ হচ্ছে অন্যায় আগ্রাসন ও সন্ত্রাস দমনের।’[ads2]

আহমদ শফী বলেন, ‘বিদেশি, অমুসলিম ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বদের হত্যা করা, হত্যার হুমকি দেওয়া, মসজিদ, মন্দির ও গির্জায় হামলা প্রচেষ্টা চরম উদ্বেগজনক। সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের পেছনে ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করতে হবে।’

বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ধ্বংস করার জন্য এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও জাতীয় ঐক্যকে বাধগ্রস্ত ও ধ্বংস করার জন্য বিভিন্ন অপশক্তি গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা এদেশ থেকে ইসলামকে উচ্ছেদ করে আধিপত্য ও শোষণের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এই কাজে তারা কলেজ-ইউনিভার্সিটির উচ্চশিক্ষিত ছাত্রসহ সরলমনা কিছু মুসলিম যুবককে আদর্শিকভাবে ইসলামের ভুল ব্যাখ্যায় প্রভাবিত করে ব্যবহার করতে সম হচ্ছে।’

আল্লামা শফি এ ব্যাপারে দেশের আলেম সমাজ, ইসলামি নেতৃবৃন্দ, মসজিদের ইমাম ও খতিবকে ইসলামের সঠিক জ্ঞান ও শিক্ষার প্রচার-প্রসারে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

মসজিদের ইমাম ও মাহফিলে পুলিশের নজরদারির সমালোচনা করে আল্লামা শফি বলেন, ‘মসজিদের ইমাম-খতিব ও মাহফিল নজরদারি করার কথা বলে ভীতি তৈরি ও ধর্মীয় কর্মকান্ড সংকোচিত করবেন না। বরং নজরদারির পরিবর্তে আলেমদের স্বচ্ছন্দে কাজ করতে সহযোগিতা করুন। কারণ সমাজের মানুষের মধ্যে সৎভাবে জীবনযাপনের যে মানসিকতা ভেতর থেকে কাজ করে সেটা এই ইমাম ও খতিবরাই  করে থাকে। প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে সন্ত্রাস দমনে সরকারের প্রকৃত সদিচ্ছা নিয়ে জনমনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে।'[ads1]

Leave A Reply

Your email address will not be published.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More