[ads1]যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামালপুরের তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ।
বিচারপতি আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল সোমবার এই রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়া তুরিন বলেন, “আমরা নিঃসন্দেহে এই রায়ে অত্যন্ত খুশি। কারণ এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের কনভিকশন রেট শতভাগ। আজকের রায়েও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।”
আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচ অভিযোগের মধ্যে তিনটি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে অপহরণ, নির্যাতন, হত্যা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের একটি অভিযোগে মো. আশরাফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান ও মো. আব্দুল বারীকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত।
আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ওরফে ‘বদর ভাই’, এস এম ইউসুফ আলী, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ আহাম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, হারুন ও মো. আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগসহ একাধিক অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে শামসুল ও ইউসুফ রায়ের সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আমৃত্যু সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এক মাসের মধ্যে আপিল করার সুযোগ পাবেন তারা।
বাকিদের পলাতক দেখিয়েই এ মামলার বিচার চলে। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে হলে তাদের আত্মসমর্পণ করতে হবে।
দণ্ডিত পলাতকদের মধ্যে যারা দেশের বাইরে রয়েছেন, তাদের বিরুদ্ধে আদালত পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) মাধ্যমে ইন্টারপোলের নোটিস জারির নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান তুরিন আফরোজ।
প্রায় ৪৫ বছর আগে সংঘটিত এসব মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত করে অভিযোগ গঠনের কাজকে ‘দুরূহ’ বলে বর্ণনা করে এই প্রসিকিউটর বলেন, “তবে আমাদেরও সীমাবদ্ধতা ছিল। আমাদের সীমাবদ্ধতার জায়গাটি কোথায় সেটা সবাই জানেন।”[ads2]
Next Post