ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় শিরোপা জয় থেকে ১০ উইকেট দূরে ভারত। আর প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ নিতে শ্রীলঙ্কার দরকার ১৩১ রান।
ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩১ রানের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছে ভারত। পুরো ২০ ওভারে এ রান করেছে তারা। সর্বোচ্চ রান করেছেন বিরাট কোহলি।
এ ম্যাচে দারুণ বোলিং করেছেন লঙ্কান বোলাররা। ভারতের খুব বেশি উইকেট ফেলতে না পারলেও, রান আটকানোতে অসাধারণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন লঙ্কানরা। সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন কুলাসেকারা। চার ওভারে ৭.২৫ গড়ে ২৯ রান দিয়েছেন তিনি।
ভারতের রান আরো কিছুটা বেশি হতে পারতো। হয়নি যুবরাজের ধীর ব্যাটিংয়ের কারণে। ২১ বলে মাত্র ১১ রান করে আউট হয়ে গেছেন তিনি। এ ছাড়া মাত্র ৪ রানে ওপেনিং জুটি ভেঙে পড়াও ভারতের কম রান হওয়ার কারণ।
শেষের দিকে ধোনি এসেও খুব একটি সুবিধা করতে পারেননি। সাত বলে চার রান করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে ভারতীয় দলপতিকে।
ভারতীয় ব্যাটিং বনাম লঙ্কান স্পিনের যে লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখেছিলো মানুষ। প্রথম ইনিংস শেষে তা পূরণ হয়নি। অবশ্য ভারতীয় স্পিন আর লঙ্কার ব্যাটিং লড়াইটা দেখার সুযোগ থাকছে এখন।
অন্য ব্যাটসম্যানদের জ্বলে না উঠার দিনে সপ্রতিভ ছিলেন বিরাট কোহলি। এমন অবশ্য প্রতি ম্যাচেই থাকছেন তিনি! ভারতের ইনিংস ১৩০ ছুঁয়েছে মূলত কোহলির ব্যাটের দ্যুতিতেই। ৫৮ বলে করে করা ৭৬ রানই ভারতকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দিয়েছে। দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি শিরোপা জয়ের জন্য ভারত আপাতত তাকিয়ে থাকবে বোলারদের দিকে।
পক্ষান্তরে ভারতের চেয়ে এ ম্যাচে কিছুটা সুবিধাজনক অব্স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। পুরো টুর্নামেন্টে দারুণ খেলা শ্রীলঙ্কার দরকার ১৩১ রান। এখন দেখার বিষয় ভারতীয় স্পিন শক্তির সেরা সময়ে শ্রীলঙ্কা কতোটা সহজে ম্যাচ জিতে। নাকি আবার ভারতীয় স্পিনের প্রলয়নাচনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে! ইতিহাস তো বলে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা কেবলই নিজেদের ছায়া হয়ে থাকে।
ভারতীয় সমর্থকরা আপাতত প্রার্থনায় বসতে পারেন, শ্রীলঙ্কা যাতে আজও নিজেদের ছায়া হয়ে যায়; এটা হলেই কেবল আরো একটা শিরোপা উঠতে পারে ধোনির হাতে!