আবদুল্লাহ জিয়াঃ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরতে আওয়ামীলীগকে পাকিস্থানী শব্দ ব্যবহার ছাড়তে হবে। রাম হয়ে কৃঞ্চের পথে আর রহিম হয়েই রহমানের/আল্লাহর পথে চলতে হয়। এটাইনিয়ম।সেক্ষেত্রে খাটি বাংলাধারী বাঙ্গালী হয়েই বাংলাদেশীর চেতনায় চলতে হবে। এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটালে আমছালা সব শেষ হয়ে যায়।তাই বর্তমান ক্ষমতাসীনদের এ কথাটি ভুললেচলবে না যে, তারা ডিজিটাল যুগের অতিজ্ঞানী ও বিচক্ষণ জাতী লিড করছে।আজ তারা এ জাতিকে যেমন ইচ্ছা তেমন একটা বুঝিয়ে দিলেও কাল অর্থ্যাৎ অদূর ভবিষ্যতে সেটি পারবেনা।তখন নিজেদের দলীয় নামের সাথে পাকিস্থানী শব্দ ব্যবহারে তাদের দলীয় বৃহ্য ভেঙ্গে খানখান হবার সম্ভাবনা থাকবে। তাছাড়া তারা যতই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলছে তা মোটেওকার্যকর হবে না। কেননা এতো এতো সমালোচনায় পড়ার পরও তারা পাকিস্থানী স্মৃতি বহন করার কারণে তাদেরকে নানা প্রশ্নের সঠিক জবাব না দেবার কারণে বিপর্যস্থ পরিস্থিতিরমোকাবিলা করতে হতে পারে। কেননা আওয়ামীলীগের আওয়ামী শব্দটি পাকিস্থানের জাতীয় ভাষা উর্দু থেকে নেয়া। এর অর্থ জনতা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলা উর্দু এবং ইংরেজীএই তিন ভাষার তিনটি শব্দ নিয়ে দল গড়েছে। বাংলাদেশ শব্দটি আমাদের দেশের নাম এটি থাকতে কারো আপত্তি থাকবেনা। আওয়ামী উর্দু শব্দ এটি কোন বাঙ্গালী সার্পোট করবেনা।কেননা এই ভাষার জন্য আমরা সালাম, বরকত, রফিক জব্বারদের হারিয়েছি। বুকের রক্ত ঢেলেছি। এই শব্দধারীদের কথামত না চলার কারণে আমরা ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, এবং ৭১ এরমুক্তিযুদ্ধ দেখতে হয়েছে। এই উর্দুকে ভালো না বাসার কারণে আমরা লক্ষ প্রাণ হারানোর সাথে সাথে জুলুম, নির্যাতনে নিষ্পেষিত হয়েছি। তাই এই শব্দটিকে সর্বত্র না বলতে আহবানজানাচ্ছি। বাংলায় সকল ভাষা চললেও উর্দু সম্পূর্ন নিষিদ্ধ থাকতে হবে। লীগ শব্দটি ইংরেজী ভাষা হতে নেয়া যা গ্রিক ভাষার সংস্করনের মাধ্যমে এসেছে। তাও চলতে পারে । কেননা এটিআর্ন্তজাতিক ভাষা। এটি এড়িয়ে চলা আমাদের সবার জন্য অসম্ভবের মত। তাই ক্ষমতাসীনদেরকে উর্দু ভাষার আওয়ামী শব্দটি বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ও সত্যিকার চেতনায় ফিরেআসতে আহবান জানাচ্ছি। অন্যথায় পাকিস্থানী শব্দ কে না বলুন আন্দোলনে পড়লে আওয়ামীলীগকে নতুন পরিস্থিতি মোকাবিলায় হিমসিম খেতে হতে পারে। পাকিস্থান আমলে প্রতিষ্ঠিতএ দলটির পুরো নাম ছিল পূর্ব পাকিস্থান আওয়ামী মুসলিম লীগ। কালে কালে পুর্বপাকিস্থান বাদ হয়ে এর স্থলে বাংলাদেশ আসে। আর মুসলিম শব্দ বাদ যাওয়ার পর ১৫ কোটি মুসলিমদেরজন্য এ দলটি কোন কিছু ফিরিয়ে না এনে ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীনতার সংস্কৃতি এনেছে এবং তা বাস্তবায়নে রক্তপাত ঘটাচ্ছে।
লেখক : সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও রাজনীতিক। ভাইস চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ