ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলছেন, “খালেদা জিয়া ব্লাউজ বানানোর জন্য দর্জিরে মজুরি দেন ২৫ হাজার টাকা। আর ওনার পরচুলার কত দাম, জানি না।”
সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদের বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় তিনি খালেদা জিয়ার শাড়ি এবং অন্যান্য বিলাসবহুল জিনিস ব্যবহারের সমালোচনা করে বলেন, ”যিনি ৪-৫ লাখ টাকা দামের শাড়ি পরেন, তিনি বাড়ি ভাড়া দিতে পারেন না-এমন খবর হাস্যকর।”
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অর্থের অভাবে তিন বছর ধরে বাড়িভাড়া দিতে পারছেন না- গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন খবরের কড়া সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলছেন, ”উনি বাড়ি ভাড়া পরিশোধ করতে চান না বলেই এখন অর্থের অভাবের কথা বলছেন।”
খালেদা জিয়া ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে চলে যাবার সময় সেখানে পাওয়া জিনিসপত্রের উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ”তখন যেসব বোতল টোতল পাওয়া গেছিল, সেগুলার দামও ওনার বাড়ি ভাড়ার চাইতে কম না।”
সোমবার একটি জাতীয় দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়া অর্থাভাবে প্রায় তিন বছর বাড়ি ভাড়া দিতে পারছেন না। খবরে বলা হয়, প্রতি মাসে দুই লাখ টাকা হারে বাড়ি ভাড়া ছাড়াও তার অনেক খরচ রয়েছে। তিন মেয়াদের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংক হিসাবগুলো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) দীর্ঘ সাত বছর জব্দ থাকায় তার সংসারে চলছে এখন টানাপড়েন। মাত্র ৫০ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলনের যে অনুমতি রয়েছে, তা দিয়ে সংসার চালাতে পারছেন না তিনি।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ”যার (খালেদা জিয়া) ছেলেদের নামে ১৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে, তিনি টাকার অভাবে বাড়ি ভাড়া দিতে পারেন না, তার অর্থ হলো ওনার ছেলেদের অর্থের ওপর ওনার কোনো অধিকার নাই।”
খালেদা জিয়ার আয়ের উৎসব পরিস্কার নয় দাবি করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, ”ওনার আয়কর ফাইল পরিস্কার না।”