বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেছেন, “শীঘ্রই দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে এই অবৈধ দেউলিয়া সরকারের পতনের ডাক দেবেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।”
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল এর মুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশ এসব কথা বলেন তিনি।
ব্যারিস্টার রফিকুল বলেন, “বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এর মাশুল একদিন তাদেরকে অবশ্যই দিতে হবে।তাই এই স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বৃহত্তর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে।”
অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এই অবৈধ সরকার দাগী অপরাধীদেরসহ ৭১৫৩টি মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। অথচ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের প্রতিনিয়ত মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার নির্যাতন চালাচ্ছে। নেতাদের জামিনযোগ্য মামলায়ও জামিন দেওয়া হচ্ছে না।”
আওয়ামীলীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ এখন আর নেতাকর্মীদের ওপর নির্ভর করতে পারছেনা। রাজনৈতিকভাবে কতটা দেউলিয়া হলে একটি রাজনৈতিক দল নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার ওপর নির্ভর করে তাদের কার্যক্রম চালায়।”
ভারতকে একতরফাভাবে বিদ্যুৎ করিডোর দেয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “তিস্তাসহ সব চুক্তির বাস্তবায়ন ও ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার আগে আরকোন করিডোর দেওয়া হবেনা।ভারতের জনগণ আমাদের বন্ধু। কিন্তু দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারত কেন পৃথিবীর কোনো দেশের কাছে বাংলাদেশের জনগণ মাথা নত করবে না।”
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আলী রেজাউর রহমান রিপনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, শফিউল বারী বাবু প্রমুখ।