ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় উদ্দীপক অংশে ‘উস্কানিমূলক’ প্রশ্নপত্র তৈরি করা সেই কলেজ শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পাল গা ঢাকা দিয়েছেন।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ডা. সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষক প্রশান্ত কুমার পাল।
প্রশ্নপত্র নিয়ে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই তিনি পলাতক রয়েছে। মোবাইলে যোগাযোগ করে কলেজে গেলেও তার দেখা পাওয়া যায়নি। সকালে কলেজে এলেও দুপুরের পর তাকে পাওয়া যায়নি।
তার বাড়ি পার্শ্ববর্তী যশোরের চৌগাছা উপজেলার হাজরাখানা গ্রামে গিয়ে দেখা মেলেনি তার। বাড়িতে বৃদ্ধ মা আর ভাই ছাড়া কাউকেই পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তীব্র নিন্দাও জানিয়েছেন ওই কলেজের শিক্ষকরা।
কলেজের অধ্যক্ষ বলাই চন্দ্র পাল বলেন, ‘কলেজে এসে চলে যাওয়ার পর তার মোবাইল বন্ধ। তবে তার বিষয়ে সরকার যে ব্যবস্থা নেবে আমি কার্যকর করব।’
কী আছে প্রশ্নে
প্রশ্নের উদ্দীপক অংশে বলা হয়, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ-বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আবদুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে।
‘আবদুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’
‘দুঃখজনক’ বলছেন শিক্ষামন্ত্রী
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সোমবার এক অনুষ্ঠান শেষে এই প্রশ্নপত্র নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন সেটিং আর মডারেটিং করা হয়। যিনি সেট করেন তিনি সেটি দেখতে পারেন না। যিনি মডারেট করেন তিনিও দেখার সুযোগ পান না। আর তাদের বাইরে আর কারও দেখার সুযোগ থাকে না। এটি আমাদের নির্দেশিকায় আছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক যে কোনো একজন প্রশ্নকর্তা এই প্রশ্ন করেছেন। যিনি মডারেট করেছেন তার দৃষ্টিও এড়িয়ে গেছে। প্রশ্নপত্র প্রণয়নে যারা সম্পৃক্ত আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’
সারাবাংলা