ফেনীর পরশুরাম সীমান্তের উত্তর বাঁশপদুয়া এলাকায় এক বাংলাদেশীকে খুন করার পর লাশ নিয়ে গেছেন ভারতীয় হানাদার বিএসএফ। বিএসএফ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে কৃষক মোহাম্মদ মেজবাহারকে (৪৭) খুন করে। তারপর লাশ নিয়ে যায়।
স্থানীয় বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পরশুরাম সীমান্তের উত্তর বাঁশপদুয়া এলাকার কাঁটাতারের পাশে পড়ে ছিল লাশ। বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকের পর ফেনীর বিএসএফ লাশ নিয়ে গেছে।
বাংলাদেশী কৃষককে খুনের পর লাশ নিয়ে যাবার বিষয়ে ভারতের হানাদার বিএসএফ যুক্তি দেখিয়েছে যে, দেশটির আইন অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ ফেরত দেওয়া হবে।
ফেনী-৪ বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ ও পতাকা বৈঠক শেষে বুধবার দিনগত রাত ৩টার দিকে সীমারেখার মধ্যে থাকা লাশটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায়। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে গুথুমা সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার সুবেদার ওমর ফারুক ও ভারতের পক্ষে ত্রিপুরার শাড়াসিয়া সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার সত্যপাল উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন লাশটি পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের মোহাম্মদ মেজবাহারের বলে শনাক্ত করেন। কৃষিকাজের পাশাপাশি তিনি ব্যবসা করতেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন সীমান্তের শূন্য-রেখায় তার লাশ দেখতে পান।
নিহত মেজবাহারের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, গত রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার স্বামী উত্তর বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমান্ত-সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান। এসময় বিএসএফের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। বিএসএফের ডাক শুনে তিনি দ্রুত নিজ এলাকার দিকে চলে আসার চেষ্টা করেন। পরে বিএসএফের সদস্যরা তাকে জোর করে ধরে নিয়ে যান। বিষয়টি এলাকার লোকজন বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ি ও পরশুরাম থানার পুলিশকে মৌখিকভাবে জানান।
ফেনী-৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম বলেন, বুধবার রাতে দুইপক্ষের পতাকা বৈঠক শেষে সমঝোতার মাধ্যমে বিএসএফ লাশ নিয়ে গেছে। তবে আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবার ফেরত দেওয়ার কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, এক বাংলাদেশীর লাশ সীমান্তের শূন্য-রেখায় পড়ে থাকতে দেখে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের পর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উৎসঃ আমার দেশ