বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র ফারদিন নূর পরশকে (২৪) সর্বশেষ যাত্রাবাড়ীতে দেখা গিয়েছিল। সাদা গেঞ্জি পরা ৩-৪ জন যুবক পরশকে লেগুনায় তুলে তারাবোর দিকে নিয়ে যান।
লেগুনার চালক ও আরোহীদের খোঁজা হচ্ছে।
চনপাড়ায় নয় অন্য কোথাও খুন করা হয়েছে পরশকে- এমনটিই দাবি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, চনপাড়ায় ফারদিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে না ডিবি। তবে আরও সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
হারুন বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে ঘটনার দিন রাত সোয়া ২টার দিকে ফারদিনকে যাত্রাবাড়ীতে দেখা গেছে। সাদা পোশাক পরা এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে লেগুনার উঠেন তিনি। এরপর লেগুনায় তারাবো বিশ্বরোডের দিকে চলে যায়। ওই সময় লেগুনায় আরও চারজন ব্যক্তি ছিলেন।
ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধান বলেন, সাদা পোশাক পরা ব্যক্তি, লেগুনার চালক ও লেগুনায় আগে থেকে অবস্থান করে চার জনকে শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
খুন চনপাড়ায় হয়নি উল্লেখ করে হারুন বলেন, সময় ও দূরত্ব বিবেচনা করলে ওই রাতে যাত্রাবাড়ী থেকে ফারদিনের চনপাড়ায় যাওয়া সম্ভব না। আবার সেখানে থেকে চনপাড়ার দিকে রওয়ানা দিলেও আড়াইটার মধ্যে পৌঁছানো অসম্ভব। তাই খুন চনপাড়ায় না অন্য কোথায় হতে পারে বলে ধারণা করছে ডিবি পুলিশ।
ঘটনার রহস্য উদঘাটনে ডিবি পুলিশ নিবিড়ভাবে কাজ করছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার দিন রাতে ফারদিন গুলিস্তান, সেখান থেকে জনসন রোড, সেখান থেকে যাত্রাবাড়ী ভ্রমণ করেছেন। যাত্রাবাড়ীতে গিয়ে ফারদিন লেগুনায় উঠেন। এ বিষয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
এর আগে, গত ৪ নভেম্বর রাতে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় বান্ধবী বুশরাকে বাসায় যাওয়ার জন্য এগিয়ে দেন ফারদিন। এরপর থেকেই নিখোঁজ হন ফারদিন। ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উৎসঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর