সীমান্তে হানাদার ভারতীয় বিএসএফ আরো একজন বাংলাদেশীকে খুন করেছে। রোববার লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় উত্তর গোতামারী সীমান্তে ৯০১ নং পিলারের কাছে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতনে নিহত বাংলাদেশী ব্যক্তির নাম মো. সরিফুল ইসলাম ওরফে সাদ্দাম (৩২)।
নিহত সাদ্দাম একই ইউনিয়নের ভুন্টিয়ামঙ্গল এলাকার আছির উদ্দিনের ছেলে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে রোববার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাটের সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস।
পুলিশ ও সীমান্ত-বাসী জানান, উপজেলার উত্তর গোতামারী সীমান্তে ৯০১ নং পিলার এলাকার পাশে ভারতীয় গরু বিক্রেতারা আসেন। এখানে সাদ্দামসহ অন্যরা ভারতীয় গরু বিক্রেতাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সাদ্দামসহ অন্যরা গরু কিনেন। এ সময় হানাদার বিএসএফ সীমান্তরেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এবং সাদ্দাম হোসেনকে আটকের পর নির্যাতন চালায়। বিএসএফ-এর নির্যাতনে সাদ্দাম নিহত হন। ভারতীয় গরু বিক্রেতাদের নিরাপদে চলে যাওয়ার সুযোগ দিলেও সাদ্দামকে পিটিয়ে হত্যা কওে বিএসএফ। সাদ্দামকে সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় রেখে পরে স্থানীয়রা খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি মারা যান।
খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস ও হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম সাদ্দাম হোসেনের বাড়ি পরিদর্শন করেন।
গোতামারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোনাবেরুল হক মোনা গণমাধ্যমকে জানান, লাশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি লোকমুখে শুনেছেন, সীমান্তে ভারতীয় বিক্রেতাদের কাছ থেকে গরু কিনে আনতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সাদ্দাম।
লালমনিরহাট সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) ফরহাদ ইমরুল কায়েস বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা হচ্ছে, বিএসএফের ভয়াবহ নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
১৫ বিজিবি লালমনিরহাটের অধিনায়ক মো. তৌহিদুল আলম বলেন, একজন মারা গেছে, সেটি শুনেছি।
এর আগে গত ৯ই নভেম্বর লালমনিরহাটের লোহাকুচি মহিষতুলি সীমান্ত এলাকায় ভারতের কুখ্যাত বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত হন।
উৎসঃ আমার দেশ