লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম বলেছেন, বর্তমান সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের কিছু লোক ছাড়া সবাই নির্যাতিত। দেশের ৪০ হাজার বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী জেলে। এসব মানুষেরা প্রতিনিয়ত নামাজ পড়ে এ সরকারের পতনের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। আল্লাহ নির্যাতিত মানুষের কান্না অবশ্যই শুনবেন।
শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসকাব মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক যুবদলের ৭ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন, গণতান্ত্রিক যুবদলের সভাপতি তমিজ উদ্দিন টিটু।
কর্নেল অলি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেননি। তবে তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে জাতিকে যে ঐক্যবদ্ধ করেছেন তা অস্বীকার করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের নয় বরং তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, সংসদে তোফায়েল আহম্মদের মতো সিনিয়র নেতারা স্বাধীনতার ঘোষককে নিয়ে যে সব নসিহত দিচ্ছিন তা আমাদের শোনার দরকার নেই। কারণ আমারা স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রত্যভাবে জড়িত ছিলাম। এসব ইতিহাস আমরা স্বচোখে দেখেছি।
শহীদ জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক উল্লেখ করে তিনি বলেন, শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই।
প্রখ্যাত সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম মূসাকে মৃত্যুর পর আওয়ামীলীগ কোনো শ্রদ্ধা জানায়নি অভিযোগ করে তিনি বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও মৃত্যুর পর কর্নেল অলি আহমেদকেও শ্রদ্ধা জানাবে না আওয়ামী লীগ। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্ত্বেও যদি আওয়ামীলীগ মতায় থাকাকালে মরে যাওয়ার পর আমাকে শ্রদ্ধা না জানায়, এতে আমার কোনো দুঃখ নেই।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, এলডিপির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, এলডিপি ঢাকা মহানগর সভাপতি এম এম খালেদ সাইফুল্লাহ প্রমুখ।