উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ১.২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাক করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা ‘ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস’ বা এনআইএস বৃহস্পতিবার এমন দাবি করেছে। তারা জানিয়েছে, গত পাঁচ বছর ধরেই ক্রমশ সক্রিয় হয়ে উঠছে উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা। এরমধ্যে ২০২২ সালে সবথেকে বেশি অর্থ চুরি করেছে তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, এসব চুরি করা অর্থ দিয়ে নিজেদের পরমাণু কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দেশটি। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাও দেশটিকে আটকাতে পারছে না তাদেরকে। ২০১৭ সালে জাতিসংঘ উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এরপরই তারা হ্যাকিং-এর রাস্তা বেছে নেয়।
নিষেধাজ্ঞার কারণে উত্তর কোরিয়ার রপ্তানি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের বিশ্বের অন্যতম সেরা ধরে নেয়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার অভিযোগ, উত্তর কোরিয়ায় সাইবার ক্রাইম এখন অর্থ আয়ের একটি অন্যতম উপায়। তাই দেশটির সরকার এই দিকটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখে।
চুরি করা অর্থের ৭ শতাংশ দক্ষিণ কোরিয়া থেকে গেছে বলেও অভিযোগ এনআইএস-এর।
তবে আর্থিক ক্ষতি নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া চিন্তিত নয়। উত্তর কোরিয়া ও চীনের হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক প্রযুক্তি সম্পর্কে জেনে যাবে এই আশঙ্কা করছে সিউল। তারা দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে যেতে পারে। এর আগে এ বছরের এপ্রিল মাসে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ক্রিপ্টোকারেন্সি হ্যাকের অভিযোগ এনেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এসব অর্থের এক তৃতীয়াংশ ব্যয় করা হয় উত্তর কোরিয়ার মিসাইল কার্যক্রমে।
উৎসঃ mzamin