র্যাব এবং বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর ২০২১ সালে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র, আবারো একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে- এমন আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে বিদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছে সরকার।
সেই চিঠিতে ৭টি বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে রাষ্ট্রদূতদের। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে নিষেধাজ্ঞার বিষয়। ‘একতরফা নিষেধাজ্ঞার’ মতো পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে রাষ্ট্রদূতদের বলা হয়েছে।
রাষ্ট্রদূতদের জন্য ২০২৩ সালে করণীয়-সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘যে কোনো কূটনীতিক মিশনের মৌলিক কাজ হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক বজায় রাখার মধ্য দিয়ে দৈনন্দিন কাজ এগিয়ে নেওয়া। তবে বর্তমান বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও বাড়তি কাজের চাহিদা রয়েছে।’
নির্দেশনায় আরও বলা হয়, ‘আমাদের একটি বিশেষায়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও তার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ওপর একতরফা নিষেধাজ্ঞা এসেছে। সরকার ও তার প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্যে সরকারি সংস্থা-ব্যক্তির ওপর একই প্রেক্ষাপটে বা অন্য কারণে আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে আমাদের বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। এ জন্য নিষেধাজ্ঞা ঠেকাতে প্রস্তুত থাকার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পাশাপাশি সময় অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি। সময়ে সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আপনাদের হালনাগাদ তথ্য ও নির্দেশনা দেবে।’
এদিকে পররাষ্ট্রসচিব চিঠি পাঠানোর এক দিন পরই ১ জানুয়ারি বিদেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।আগামী সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সব রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি উদ্যোগ নিতে তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
jugantor