হাতকড়া আর ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়লেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম রেজা। মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে গত রবিবার রাতে (১৫ জানুয়ারি) গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি শরিয়তপুরের সুজন দোয়াল এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হন তিনি।
তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট সেলিম রেজা। সেলিম রেজার মা নাসিমা অসুস্থতাজনিত কারণে গত রবিবার বেলা সাড়ে ১০টায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। স্বজনেরা জানান, শেষবার মাকে দেখতে ও মায়ের জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে রবিবার জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন সেলিম রেজা। তবে তার মুক্তি নিয়েও টালবাহানা করা হয় বলে অভিযোগ করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ওইদিন বিকাল সাড়ে চারটায় মুক্তি দেয়ার কথা থাকলেও পরে রাত পৌনে এগারোটায় দিকে পুলিশী পাহারায় প্যারোলে মুক্তি লাভ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজাস্থলে উপস্থিত হন তিনি। চারটায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে।জানাজার পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন সেলিম রেজা।
জানাজায় এলাকার লোকজন ছাড়াও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মৃধা, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সদস্য সচিব নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম সম্পাদক শাহরিয়র হাসানসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
তার জানাজায় উপস্থিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, জানাজার সময়ও সেলিম রেজার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে না দেওয়া হয়নি। এতে জানাজায় উপস্থিত লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে এতেও কর্ণপাত করেনি প্রশাসন।
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজাকেও আটক করা হয়। ওই ঘটনায় করা পুলিশের মামলায় তিনি কাশিপুর কারাগারে রয়েছেন।
সেলিম রেজার সঙ্গে এ ধরণের আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
ঢাকাটাইমস