গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে ১০০ টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করেছে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার। ডিক্লারেশন বাতিলের তালিকায় রয়েছে আরও শতাধিক পত্রিকা।
ফ্যাসিবাদী সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাসান মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) গণমাধ্যম কর্মীদের এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য এই সরকার শুধু পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করেনি। অনেক অনলাইন পত্রিকা অন্যায়ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। কখনও তথ্য মন্ত্রণালয়, কখনওবা গোয়েন্দা সংস্থার লোকেরা সরাসরি অনলাইন পত্রিকার ডোমেইন বন্ধ করে দিচ্ছে।
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে হাসান মাহমুদ আরো বলেন, অনেক পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
একদিকে সরকার চিহ্নিত আওয়ামীদের পত্রিকার ডিক্লারেশন দিচ্ছে। আরেক দিকে ভিন্নমতের সংবাদ মাধ্যমকে কখনো জোর করে বন্ধ করে দিচ্ছে। আবার কখনো ডিক্লারেশন বাতিল করে দিচ্ছে।
হাসান মাহমুদ দাবী করেন, শেখ হাসিনার শাসন আমলে গত ১৪ বছরে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। তাঁর তথ্য অনুযায়ী ৪৫০ দৈনিক পত্রিকা ছিল, সেখানে থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১ হাজার ২৬০টি দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা। অনলাইন গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে। টেলিভিশনের সংখ্যা ১০টি থেকে ৩৬টি এখন অন এয়ারে আছে। এফএম রেডিও লাইসেন্স প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে পেয়েছে। এ রকম বিকাশ আশে পাশের দেশে হয়নি বা পাশ্চাত্যে এত বেশি সংবাদমাধ্যম হয়নি।
এই সরকারের আমলে শুধুমাত্র আওয়ামীদেরই গণমাধ্যম প্রকাশের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব পত্রিকার বেশিরভাগই আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রকাশ্য বা গোপন অর্থায়নে করার বিষয়টি তো সবারই জানান। মূলতঃ আওয়ামীপন্থী এসব পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে সরকারের তোষামোদের পাশাপাশি দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিয়ে রাখা হয়।