ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তায় নিজেদের নৌকা ও উন্নত সশস্ত্র ড্রোন সরবরাহ করছে ইরান।
দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, সম্প্রতি তেহরানের কাছ থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ক্রয়ের চেষ্টা চালাচ্ছে মস্কো। যদিও এ বিষয়ে দুই দেশ কোনো চুক্তিতে পৌঁছেছে কিনা তা নিশ্চিত হতে পারেনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি।
গত বছরের নভেম্বরের দিকে রাশিয়ার শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পাশাপাশি প্রযুক্তিবিদরা তেহরান সফর করেন। ওই সময় রুশ নৌবাহিনীকে ১৮টি ড্রোন দেওয়া হয় বলে গার্ডিয়ান জানিয়েছে।
যুদ্ধে মস্কোকে এখনও সামরিক সহায়তা দিয়ে আসছে তেহরান। কিন্তু দেশটির দাবি, তারা ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে কোনো সামরিক সহায়তা দেয়নি। তবে ওয়াশিংটন বলছে, এ বিষয়ে তাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ রয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, রাশিয়ায় পাঠানো অধিকাংশ ড্রোন গোপনে কাস্পিয়ান সাগরের উপকূলে একটি ঘাঁটি থেকে ইরানি জাহাজে পাঠানো হয়েছিল। পরে রুশ নৌবাহিনীর একটি নৌকায় তা হাতবদল হয়ে যায়। কিছু পাঠানো হয় ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এয়ারলাইন্সে।
গত আগস্টে মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেন, মস্কোর জন্য শাহেদ-১৯১ এবং ১২৯ মডেলের ড্রোন প্রদর্শন করে তেহরান। মস্কোর কাছে বিক্রির উদ্দেশে এসব প্রদর্শন করা হয়। কিছু দিন পর মোহাজের-৬ ড্রোনের মাধ্যমে ইউক্রেনে হামলার প্রমাণ পায় কিয়েভ। পরবর্তীতে বেশ কিছু ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করে দ্য গার্ডিয়ানের সামনে উপস্থাপন করে জেলেনস্কির প্রশাসন।
যুদ্ধের এক বছর পূর্তিকে কেন্দ্র করে ইউক্রেনে আবারও বড় হামলার ছক কষছে রুশ প্রশাসন। ফলে রাশিয়া আবারও মিত্র ইরান ও উত্তর কোরিয়া থেকে সামরিক সহায়তা নিতে পারে বলে ধারণা পশ্চিমা নেতাদের।
গত বছরের ডিসেম্বরে ইরানি ড্রোন দিয়ে রাজধানী কিয়েভসহ ইউক্রেনের বিভিন্নস্থানে রাশিয়া হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা।
jugantor