চাঁদা না দেওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের ইব্রাহিমপুর ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলতাফ হোসেনকে (৫৪) বেধড়ক মারধর করলেন ধূলশুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তানজিদ মাহমুদ ইসলাম রবিন ও তার অনুসারী।
এ সময় স্কুলের ল্যাব সহকারী শুভ্র দত্তকেও মারধর করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকালে। প্রধান শিক্ষকের দাবি এরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানের অজুহাতে তার কাছে চাঁদা দাবি করত। চাঁদা না দেওয়া ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে মারধর করা হয়েছে। মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার পরই মারধরের শিকার প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে হরিরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মৃদুলা রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। পাশাপাশি হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি করেন।
থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলতাব হোসেন খানের কাছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা দাবি করে স্থানীয় ধূলশুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তানজিদ মাহমুদ ইসলাম রবিনের নেতৃত্বে হাবিবুল ইসলাম, সৌরভ, নয়ন, আমিনুল্লাহ ও তুষার হালদার।
অভিযোগে আরও জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর শুভ্র দত্ত দুজনে হরিরামপুর অগ্রণী ব্যাংকে যাওয়ার পথে তাদের ওপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালানো হয়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এমএ সিফাত কুরাইশী সুমন যুগান্তরকে জানান, শিক্ষকের ওপর ছাত্রলীগের কোনো নেতা যদি হামলা করে থাকলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার আদিত্য ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধূলশুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তানজিদ মাহমুদ ইসলাম রবিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। স্থানীয় গঙ্গারামপুর গ্রামের জাফরের ছেলে নয়ন (২০) নামের এক যুবককে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান যুগান্তরকে জানান, শিক্ষককে প্রহার ও চাঁদা দাবির সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ব্যাপারে থানার ওসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।